ঢাকা , সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালুখালীতে ইউপি সচিবের অসম্ভব কেরামতি

মদাপুরের পলাতক চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখিয়ে রেজিলেশন

-দূর্নীতীবাজ ইউ পি সচিব রবিউল ইসলাম।

ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তিনি। তারপরও গত ৪ আগষ্ট পর্যন্ত তার প্রচন্ড দাপট ছিলো। দেখে দিবো, ফেলে দিবো বলে মানুষকে ভয় দেখাতো। কিন্তু ৫ আগষ্ট দুপুর থেকে এমন দাপুটে চেয়ারম্যানের খোজ পাওয়া যাচ্ছিলো না । হঠাৎ কোথায় গেলো কেউ জানে না। কেউ কিছু বলতে পারে না। কোথাও তাকে দেখা গেছে এমন প্রত্যক্ষদর্শী খুজে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর এরকম পালিয়ে থাকায় থেমে যায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা।
এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য সরকারী নীতি অনুসরন প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই মাঝে পলাতক চেয়ারম্যানকে পরিষদে উপস্থিত দেখিয়ে অসম্ভব রকম কেরামতি দেখালেন মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রবিউল ইসলাম।
কোন ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকলেও কাগজে কলমে গত ১৫ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক জরুরী সভা দেখান সচিব রবিউল  ইসলাম। ওই সভায় তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে রেজিলেশন বহিতে লিপিবদ্ধ করেন। পরে সভার কার্য বিবরনী তুলে ধরেন।
সচিবের কারসাজির ওই সভায় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মদন কুমার প্রামানিককে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
নকল স্বাক্ষরযুক্ত ওই সভা উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে পলাতক চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখানোর চেষ্টা করে সচিব। এরই মাঝে সব জানাজানি হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বিষয়টির খোজ নিলে ধরা পড়েন ইউনিয়ন সচিব রবিউল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ডেকে ১৫ আগষ্টের সভার বিষয়য়ে জানতে চান।
মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মদন কুমার প্রামানিক জানায়, আমি ওইদিন পরিষদে যাইনি, কোন প্রকার স্বাক্ষরও প্রদান করিনি। এটা আমাদের সাথে প্রতারনা । আমরা এর বিচার চাই।
সচিব রবিউল  ইসলাম জানায়, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু  আমাকে মোবাইল ফোনে এ ধরনের সভার ব্যবস্থা করতে বলেছে, তাই করেছি। এতে আমার কোন দোষ নেই। সব দোষ চেয়ারম্যানের ।  ১২ জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের স্বাক্ষর জাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে ।
তবে এতোসব অপকর্মের পরও এখনো স্বপদে বহাল আছেন সচিব রবিউল  ইসলাম।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতিয়ায় ভূমিহীনদের বন্দোবস্তকৃত জমি বুঝিয়ে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

কালুখালীতে ইউপি সচিবের অসম্ভব কেরামতি

মদাপুরের পলাতক চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখিয়ে রেজিলেশন

আপডেট টাইম : ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তিনি। তারপরও গত ৪ আগষ্ট পর্যন্ত তার প্রচন্ড দাপট ছিলো। দেখে দিবো, ফেলে দিবো বলে মানুষকে ভয় দেখাতো। কিন্তু ৫ আগষ্ট দুপুর থেকে এমন দাপুটে চেয়ারম্যানের খোজ পাওয়া যাচ্ছিলো না । হঠাৎ কোথায় গেলো কেউ জানে না। কেউ কিছু বলতে পারে না। কোথাও তাকে দেখা গেছে এমন প্রত্যক্ষদর্শী খুজে পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর এরকম পালিয়ে থাকায় থেমে যায় রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবা।
এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য সরকারী নীতি অনুসরন প্রক্রিয়া শুরু করে। এরই মাঝে পলাতক চেয়ারম্যানকে পরিষদে উপস্থিত দেখিয়ে অসম্ভব রকম কেরামতি দেখালেন মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রবিউল ইসলাম।
কোন ইউপি সদস্য বা চেয়ারম্যান উপস্থিত না থাকলেও কাগজে কলমে গত ১৫ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের এক জরুরী সভা দেখান সচিব রবিউল  ইসলাম। ওই সভায় তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে রেজিলেশন বহিতে লিপিবদ্ধ করেন। পরে সভার কার্য বিবরনী তুলে ধরেন।
সচিবের কারসাজির ওই সভায় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মদন কুমার প্রামানিককে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
নকল স্বাক্ষরযুক্ত ওই সভা উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করে পলাতক চেয়ারম্যানকে উপস্থিত দেখানোর চেষ্টা করে সচিব। এরই মাঝে সব জানাজানি হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া আফরোজ বিষয়টির খোজ নিলে ধরা পড়েন ইউনিয়ন সচিব রবিউল ইসলাম। বৃহস্পতিবার তিনি মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ডেকে ১৫ আগষ্টের সভার বিষয়য়ে জানতে চান।
মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রতিনিধিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মদন কুমার প্রামানিক জানায়, আমি ওইদিন পরিষদে যাইনি, কোন প্রকার স্বাক্ষরও প্রদান করিনি। এটা আমাদের সাথে প্রতারনা । আমরা এর বিচার চাই।
সচিব রবিউল  ইসলাম জানায়, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু  আমাকে মোবাইল ফোনে এ ধরনের সভার ব্যবস্থা করতে বলেছে, তাই করেছি। এতে আমার কোন দোষ নেই। সব দোষ চেয়ারম্যানের ।  ১২ জন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের স্বাক্ষর জাল সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে ।
তবে এতোসব অপকর্মের পরও এখনো স্বপদে বহাল আছেন সচিব রবিউল  ইসলাম।