ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যৌনকর্মকালে এক বীমাকর্মী ধৃত

রাজবাড়ীর কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যৌনকর্মকালে এক বীমাকর্মী ধৃত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কালুখালীর রতনদিয়া মৃধা বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

ধৃত বীমাকর্মীর নাম ফজলুল হক। সে কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পাকশী গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে। ফজলু নিজেকে কখনো বীমাকর্মী, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো রাজনৈতিক দলের নেতা দাবী করেন।
প্রবাসীর স্ত্রীর নাম শিল্পী বেগম। সে রতনদিয়া গ্রামের নুহু মৃধার স্ত্রী।
মঙ্গলবার রাতে ২ মেয়েসহ শিল্পী পাশাপাশি রুমে ঘুমাতে যায়। রাত আনুমানিক ১১ টায় চকি ও ঘরের টিনের বেড়াতে খাট খুট শব্দ শুনে ২ মেয়ে জেগে ওঠে। তারা মায়ের রুমে গিয়ে আলো জ্বালালে ফজলুল হক ও তার মায়ের যৌন কর্ম দেখতে পায়। এ সময় দুই মেয়ে চিৎকার দিয়ে ধরতে গেলে ফজলু তাদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা রাতেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হালিম বিশ্বাসকে অবগত করে। হালিম বিশ্বাস জানায়, রাতে ফজলুকে খুজে পাওয়া যায়নি। তার ফোনটিও বন্ধ ছিলো।
মোবাইল ফোনে কথা হয় নুহু মৃধার সাথে। সে জানায়, ফজলুর সাথে আমার স্ত্রীর অবৈধ কাজের কথা শুনেছি। আমি তাকে তালাক দিবো। ফজলুর মোবাইলে ফোন দিলে সে ফোন কেটে দেয়।
প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী বেগম জানায়, ফজলুর সাথে আমার ৩ বছরের পুরনো প্রেমের সম্পর্ক। আমি তাকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই। আমার দাবী না মানলে মামলা দিবো।
ফজলুর স্ত্রী খুশি বেগম জানায়, ঘটনা যাই হোক। এদের বিবাহ দেওয়ার দরকার নেই। শাস্তি দিয়ে সমাধান করুন। কালুখালী থানার এসআই প্রদীপ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যৌনকর্মকালে এক বীমাকর্মী ধৃত

আপডেট টাইম : ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :

রাজবাড়ীর কালুখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে যৌনকর্মকালে এক বীমাকর্মী ধৃত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কালুখালীর রতনদিয়া মৃধা বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

ধৃত বীমাকর্মীর নাম ফজলুল হক। সে কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের পাকশী গ্রামের মৃত জলিল সরদারের ছেলে। ফজলু নিজেকে কখনো বীমাকর্মী, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো রাজনৈতিক দলের নেতা দাবী করেন।
প্রবাসীর স্ত্রীর নাম শিল্পী বেগম। সে রতনদিয়া গ্রামের নুহু মৃধার স্ত্রী।
মঙ্গলবার রাতে ২ মেয়েসহ শিল্পী পাশাপাশি রুমে ঘুমাতে যায়। রাত আনুমানিক ১১ টায় চকি ও ঘরের টিনের বেড়াতে খাট খুট শব্দ শুনে ২ মেয়ে জেগে ওঠে। তারা মায়ের রুমে গিয়ে আলো জ্বালালে ফজলুল হক ও তার মায়ের যৌন কর্ম দেখতে পায়। এ সময় দুই মেয়ে চিৎকার দিয়ে ধরতে গেলে ফজলু তাদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা রাতেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হালিম বিশ্বাসকে অবগত করে। হালিম বিশ্বাস জানায়, রাতে ফজলুকে খুজে পাওয়া যায়নি। তার ফোনটিও বন্ধ ছিলো।
মোবাইল ফোনে কথা হয় নুহু মৃধার সাথে। সে জানায়, ফজলুর সাথে আমার স্ত্রীর অবৈধ কাজের কথা শুনেছি। আমি তাকে তালাক দিবো। ফজলুর মোবাইলে ফোন দিলে সে ফোন কেটে দেয়।
প্রবাসীর স্ত্রী শিল্পী বেগম জানায়, ফজলুর সাথে আমার ৩ বছরের পুরনো প্রেমের সম্পর্ক। আমি তাকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই। আমার দাবী না মানলে মামলা দিবো।
ফজলুর স্ত্রী খুশি বেগম জানায়, ঘটনা যাই হোক। এদের বিবাহ দেওয়ার দরকার নেই। শাস্তি দিয়ে সমাধান করুন। কালুখালী থানার এসআই প্রদীপ কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রিন্ট