নরসিংদীর মনোহরদীতে গত (৫ আগস্ট) সোমবার সরকার পতনের দিনই উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের পীরপুর গ্রামের বাসিন্দা (বীর মুক্তিযোদ্ধা) মৃত: আজহারুল ইসলাম (চুন্নু), তিনি সাবেক সেনাবাহিনীর একজন সার্জেন ছিলেন। ১৯৯২ সালের রিটায়ের্ড করেন। উনার ঘর-বাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেন দুষ্কৃতকারীরা। এই ঘটনায় মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোছাঃ ছাবিহা সুলতানা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ ফররুল আহমেদ মুকুলের নেতৃত্বে, স্বপন মিয়া, বাদল আহমেদ, মাহমুদুল হক কানন, হিরণ মিয়া, গোলাম মাওলা, গোলাম কিবরিয়া, মামুন মিয়া, মাসুম মিয়া, আরমান, মান্নান মিয়া, চাঁন মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেনসহ দুষ্কৃতকারীদের একটি দল গত ৫ আগস্ট সোমবার বাড়ীতে ঢুকে বাড়ী ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। নগদ টাকা, স্বর্ণের গহনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। ৮ লক্ষ টাকা ফসলী জমি কেটে ফেলে এবং ৫ টি দোকান ভাংচুর করে।
গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুষ্কৃতিকারীরা আমার বাড়ীতে আবারো আক্রমণ করে একটি বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগকারী আরও জানান, আমার ৩ ছেলে তারা সবাই দেশের বাহিরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে আছে।
তার মধ্যে একজন পুলিশ অফিসার শান্তি রক্ষা মিশনে রয়েছে। এমতাবস্থায় বাড়ীতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পূর্ব শত্রুুতার জেরে বিবাদীরা অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন দুষ্কৃতকারী মিলে আমাদের আর্থিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যেই লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি মনোহরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ ফররুল আহমেদ মুকুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে উনাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার ওসি আবুুল কাশেম ভূঁইয়ার মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ৫ আগস্ট অভিযোগ পেয়েছি, প্রাথমিক তদন্তে সত্যতাও পেয়েছি, তাদের জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘটনাটি ঘটিয়েছে। নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
প্রিন্ট