বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী ও বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে শোক সভায় বেলজিয়াম আওয়ামী লীগ সভাপতি শহীদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী রতনের পরিচালনায় বক্তারা বলেন,
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট পরিবারের প্রায় সকল সদস্য সহ ঘাতকের কাছে নিমর্মভাবে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়ে ছিলো।বক্তারা জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটি বাতিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননা ও ভাংচুর ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক এম পি , সাধারণ নেতা কর্মীদের ওপর নিষ্পেষণ ও হামলা, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দিকে শান্তিপূর্ন শোভাযাত্রা বাধা প্রদান ও সংখ্যালঘিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানান।
বাংললাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল সামাজিক , সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মাতৃভূমি বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর অবদান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পুরো জাতির উত্তরাধিকার। বক্তাগণ বলেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ধ্বংস ও ধানমন্ডি ৩২ নাম্বরে আগুন এবং ৩২ নম্বরের দিকে শান্তিপূর্ন শোভাযাত্রা বাধা প্রদানের লজ্জা আমাদের পুরো জাতির।বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছে সব সময় ।
জাতির এই ক্রান্তি লগ্নে আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সভায় বক্তাগণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ পরিবার,সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে নিহত সব ছাত্র ছাত্রী, পুলিশ ও সাধারণ নাগরিকদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন, সকল শহীদদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন, হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ ও সুষ্ট তদন্ত দাবি করেন এবং নিহতের পরিবারকে সমস্ত ক্ষতিপূরণ দিতে দাবি জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ পরিবার এবং গত ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত করে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষ হয়। কোরআন থেকে পাঠ করেন মাহির মাহমুদ ও দোয়া পরিচালনা করেন শামীম আহমেদ।
এসময় বক্তব্য রাখেন বেলজিয়াম আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ুন মাকসুদ হিমু, সহসভাপতি আব্দুস সালাম ভূঁইয়া, বাবু নিরঞ্জন রায়, মোশারফ হোসেন বাবু, সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক খোকন শরীফ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সভাপতি ফিরোজ বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দাউদ খান সোহেল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও আওয়ামী লীগের সংগঠক মানিক পাল, দাউদ খান সোহেল,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুর্শেদ মাহমুদ শিক্ষা সম্পাদক, নিয়াজ মোর্শেদ, বেলজিয়াম যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক খালেদ মিনহাজ, আওয়ামী লীগ নেতা জনাব আরিফ, এন্তর প আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, মাহমুদ হাছান,রিফাত।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি জহির খান, যুগ্ম সম্পাদক, সাইদুর রহমান খান, আওয়ামী লীগ নেত্রী স্বপ্না দেব,প্রচার সম্পাদক আখতারুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইমরান আলী, মহিলা সম্পাদিকা , রাবেয়া জামান, সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা আয়েশা সরকার, প্রদীপ সরকার, মানবাধিকার কর্মী জুয়েল জিলানী যুগ্ম সম্পাদক শাহীন, তথ্য সম্পাদক রানা মর্তুজা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান, আতিক চৌধুরী , আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
প্রিন্ট