ফরিদপুরের ছাত্র জনতার উদ্যোগে পৌর সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ মেয়র কাউন্সিলরদের পদত্যাগ সহ ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিন শেষ পৌরসভা কার্যালয়ে এসে শেষ হলে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় এতে বক্তব্য রাখেন আবরার নাদিম ইতু, মোঃ সোহেল, মোহাম্মদ মেহেদী , কাজী রিয়াজ , মোহাম্মদ সিফাত , মেহেদী হাসান হৃদয়, প্রমুখ । সভায় বক্তারা পৌর মেয়র অমিতাভ বোসের বিগত দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তারা বলেন পৌর মেয়র একজন মাতাল । তিনি দুর্নীতিবাজ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় তার নেতৃত্বে ছাত্র সমাজের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল। তিনি ফরিদপুর পৌরসভা কে দুর্নীতির আখরায় পরিণত করেছেন । শুধু তিনি একা নন দুর্নীতির সাথে ফরিদপুর পৌরসভার কর্মকর্তারা জড়িত। গত বছরগুলোতে তিনি কোথায় কি উন্নতি করেছেন তা আমরা খতিয়ে দেখব। পৌরসভার সকল কর্মকর্তাবৃন্দ যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এবং অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। উনি রাতের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। জনগণকে ভোট দিতে হয়নি। আর তিনি ক্ষমতায় বসে পৌরসভা কে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছেন।
একই সাথে যে সমস্ত কাউন্সিলর বৃন্দ তাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। জনগণ একটা মাতালকে পৌরসভার মেয়র হিসেবে দেখতে চায় না। অবিলম্বে এই মেয়রের অপসারণ করো না হলে আগামীতে আরো বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান। এর আগে ফরিদপুর পৌরসভা মেয়রের কক্ষে প্যানেল মেয়রের পক্ষে কাউন্সিলরদের পক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
এরপর ছাত্র সমাজের ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
শৌর মেয়র ও দুর্নীতিবাজ কাউন্সিলরদের পদত্যাগ সহ ১০ দফা দাবি নিম্নরূপ:-
১. স্বচ্ছ প্রক্রিয়া ও আগামীর পৌর মেয়র পৌরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের ঘুন বা অবৈধ কার্যকলাস করতে পারবে না। প্রগামীর পৌর মেয়রকে অবশ্যই জনগণের জন্য কাজ করবে।
২. বরখাস্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রত্যঙ্ক হামলায় জড়িতদের বরখাস্ত করতে হবে।
৩. অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা: গৌরসভার অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। প্রতিটি খরচের হিসাব জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ফরিদপুর পৌর সুপার মার্কেট এর দোকান গুলা নিজেদের মধ্যে ভাগা ভাগি বন্ধ করেতে হবে এবং সকল প্রকার দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেবে আমাদের কাছে।
৪. বাজেট এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা: বাজেট প্রণয়ন এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের অংশগ্নহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বাজেটের যথাযথ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।
৫. প্রতিটা পৌরসভার নিয়মিত অডিটের ব্যবস্থা করতে হবে এবং অভিটের রিপোর্ট জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে।
৬. “জবাবদিহিডা: পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের অন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. জন অভিযোগ ব্যবস্থা: জনগণের অভিযোগ গ্রহণ এবং সমাধানের জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা চালু করতে হবে। অভিযোগকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
৮. প্রকল্প বান্ধবায়নে স্বচ্ছতা পৌরসভায় চালু থাকা প্রকল্পগুলোর কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পৌরকর ব্যবস্থাপনা: পৌরকর নির্ধারণ এবং আদায়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। কর আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো অবৈধ পদ্ধতি গ্রহণ করা যাবে না এবং অতিরিক্ত পৌরকর ধার্য করা যাবেনা কোনমতেই
১০. নিয়মিত মনিটরিং: পৌরসভার কাজ এবং পরিসেবা নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে, যাতে কোনো ধ্যানের অনিয়ম বা দুর্নীতি ঘটতে না পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তাঞ্জিলুর রশিদ সহ ফরিদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
প্রিন্ট