ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে মারধর ও হেনস্তা

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ (সাময়িক বরখাস্ত) সাবিনা ইয়াছমিনকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় আজ বৃহ:পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্দেশনা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) কর্তৃক বারবার অনুরোধ জানানো হলেও দীর্ঘ দিন বিষয়টি আমলে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সাবিনা ইয়াসমিন তার দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

 

বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের পদে আছেন আতাহার আলী। তাদের দুজনের নেতৃত্বে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নাসির, গভর্নিং বডির সদস্য সিরাজুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে মারধর ও হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, আমাকে যড়যন্ত্র করে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। কোনো জায়গাতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি আমাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি আদালতের আদেশের কাগজপত্র, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির কাগজপত্র নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে ও নানাভাবে হেনস্তা করে। এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম ও অফিসের পিয়ন জানিমুল ইসলামকেও মারধর করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

জানা গেছে, কলেজটির উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে ২০১৪ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সাবিনা ইয়াছমিনের নিয়োগ বৈধ নয়। অতঃপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অনুরোধক্রমে তাকে ২০১৬ সালে স্বপদে পুনর্বহাল করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি তাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, সাবিনা ইয়াসমিন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তার রিরুদ্ধে করা কর্তৃপক্ষের রিট সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এছাড়াও কুষ্টিয়া আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় বুধবার তিনি কলেজে এসে আমাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেন এবং জোরপূর্বক আমার চেয়ারে বসেন। গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

এ বিষয়য়ে কথা বলার জন্য কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

 

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অভিজ্ঞতা বিবেচনা করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য কলেজই একাধিক মামলা করেছে। সবগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে মারধর ও হেনস্তা

আপডেট টাইম : ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ (সাময়িক বরখাস্ত) সাবিনা ইয়াছমিনকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় আজ বৃহ:পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্দেশনা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) কর্তৃক বারবার অনুরোধ জানানো হলেও দীর্ঘ দিন বিষয়টি আমলে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সাবিনা ইয়াসমিন তার দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

 

বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের পদে আছেন আতাহার আলী। তাদের দুজনের নেতৃত্বে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নাসির, গভর্নিং বডির সদস্য সিরাজুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে মারধর ও হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, আমাকে যড়যন্ত্র করে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। কোনো জায়গাতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি আমাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি আদালতের আদেশের কাগজপত্র, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির কাগজপত্র নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে ও নানাভাবে হেনস্তা করে। এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম ও অফিসের পিয়ন জানিমুল ইসলামকেও মারধর করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

জানা গেছে, কলেজটির উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে ২০১৪ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সাবিনা ইয়াছমিনের নিয়োগ বৈধ নয়। অতঃপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অনুরোধক্রমে তাকে ২০১৬ সালে স্বপদে পুনর্বহাল করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি তাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, সাবিনা ইয়াসমিন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তার রিরুদ্ধে করা কর্তৃপক্ষের রিট সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এছাড়াও কুষ্টিয়া আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় বুধবার তিনি কলেজে এসে আমাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেন এবং জোরপূর্বক আমার চেয়ারে বসেন। গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

এ বিষয়য়ে কথা বলার জন্য কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

 

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অভিজ্ঞতা বিবেচনা করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য কলেজই একাধিক মামলা করেছে। সবগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।


প্রিন্ট