ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত Logo হাতিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার Logo তানোরে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির ১৫ হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ Logo ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে নড়াইলে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo সদরপুরে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি প্রকাশ্যে, পুলিশ খুঁজে পাচ্ছেনা! Logo নড়াইলে উন্নত জাতের করলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo বন্যায় ঘর হারাদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছে হুয়াওয়ে Logo অবৈধভাবে পলিথিন উৎপাদন, ভ্রাম্যমান অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে মারধর ও হেনস্তা

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ (সাময়িক বরখাস্ত) সাবিনা ইয়াছমিনকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় আজ বৃহ:পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্দেশনা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) কর্তৃক বারবার অনুরোধ জানানো হলেও দীর্ঘ দিন বিষয়টি আমলে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সাবিনা ইয়াসমিন তার দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

 

বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের পদে আছেন আতাহার আলী। তাদের দুজনের নেতৃত্বে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নাসির, গভর্নিং বডির সদস্য সিরাজুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে মারধর ও হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, আমাকে যড়যন্ত্র করে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। কোনো জায়গাতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি আমাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি আদালতের আদেশের কাগজপত্র, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির কাগজপত্র নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে ও নানাভাবে হেনস্তা করে। এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম ও অফিসের পিয়ন জানিমুল ইসলামকেও মারধর করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

জানা গেছে, কলেজটির উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে ২০১৪ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সাবিনা ইয়াছমিনের নিয়োগ বৈধ নয়। অতঃপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অনুরোধক্রমে তাকে ২০১৬ সালে স্বপদে পুনর্বহাল করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি তাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, সাবিনা ইয়াসমিন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তার রিরুদ্ধে করা কর্তৃপক্ষের রিট সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এছাড়াও কুষ্টিয়া আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় বুধবার তিনি কলেজে এসে আমাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেন এবং জোরপূর্বক আমার চেয়ারে বসেন। গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

এ বিষয়য়ে কথা বলার জন্য কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

 

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অভিজ্ঞতা বিবেচনা করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য কলেজই একাধিক মামলা করেছে। সবগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে মারধর ও হেনস্তা

আপডেট টাইম : ১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার :

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ (সাময়িক বরখাস্ত) সাবিনা ইয়াছমিনকে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় আজ বৃহ:পতিবার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে স্বপদে পুনর্বহালের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্দেশনা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) কর্তৃক বারবার অনুরোধ জানানো হলেও দীর্ঘ দিন বিষয়টি আমলে নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার সাবিনা ইয়াসমিন তার দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন।

 

বর্তমানে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো. হাবিবুল ইসলাম এবং ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের পদে আছেন আতাহার আলী। তাদের দুজনের নেতৃত্বে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নাসির, গভর্নিং বডির সদস্য সিরাজুল হকসহ বেশ কয়েকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে মারধর ও হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, আমাকে যড়যন্ত্র করে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল আমার বিরুদ্ধে। কোনো জায়গাতেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি আমাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেয় না কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আমি আদালতের আদেশের কাগজপত্র, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশির কাগজপত্র নিয়ে কলেজে গিয়েছিলাম। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে ও নানাভাবে হেনস্তা করে। এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ইমদাদুল ইসলাম ও অফিসের পিয়ন জানিমুল ইসলামকেও মারধর করা হয়। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

 

জানা গেছে, কলেজটির উপাধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াছমিনকে ২০১৪ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সাবিনা ইয়াছমিনের নিয়োগ বৈধ নয়। অতঃপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অনুরোধক্রমে তাকে ২০১৬ সালে স্বপদে পুনর্বহাল করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি তাকে স্বপদে পুনর্বহালের আদেশ দিয়েছে বারবার। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হাবিবুল ইসলাম বলেছেন, সাবিনা ইয়াসমিন সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় আছেন। তার রিরুদ্ধে করা কর্তৃপক্ষের রিট সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এছাড়াও কুষ্টিয়া আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় বুধবার তিনি কলেজে এসে আমাকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দেন এবং জোরপূর্বক আমার চেয়ারে বসেন। গভর্নিং বডির অনুমতি ছাড়াই তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

 

এ বিষয়য়ে কথা বলার জন্য কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী ও কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) মাহফুজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

 

 

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, অভিজ্ঞতা বিবেচনা করেই কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য কলেজই একাধিক মামলা করেছে। সবগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা।