রাজশাহীর তানোর উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক, তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র, সেরা সংগঠক, আদর্শিক,পরীক্ষিত ও তরুণ নেতৃত্বের আইডল মিজানুর রহমান মিজান বলেছেন, দেশ পরিচালনায় বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যেমন কোনো বিকল্প নাই, তেমনি রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ঐক্যবদ্ধ বিএনপির কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের অস্থিত্ব রক্ষায় যেমন ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রয়োজন: তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক গণতন্ত্রের ধারক-বাহক বিএনপিকেও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় বিএনপির পক্ষে তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌচ্ছা ও শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, বিএনপি’র রাজনতিক দর্শন, শহীদ জিয়ার আদর্শ এবং ১৯ দফার কথা কেবল মুখে বললই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বিএনপি’র রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উনয়ন, বিনিয়াগ-কর্মসংস্থান আধিপত্যবাদ-সামরাজ্যবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে ক্ষমতাচ্যুৎ আওয়ামী লীগ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা লুটপাট ও জ্বালাও-পোড়াও করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেস্টা করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও তাদের রুখে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আপোষহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ অপশক্তিকে প্রতিহত করার পাশাপাশি বিএনপিকে জ্ঞানভিত্তিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এজন্য ঐক্যবদ্ধ বিএনপির কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীদের মাঝে পৌচ্ছে দিতে হাবে বিএনপি তথা শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন। তার মতে মূখে কেবল শহীদ জিয়ার স্বপ্নের কথা বললেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। বিএনপির রাজনৈতিক দর্শন কি, অর্থনৈতিক কর্মসূচী তথা উৎপাদন, উন্নয়ন, বিনিয়োগ-কর্মসংস্থান এবং আধিপত্যবাদ-সম্প্রসারণবাদ কি ও তার ক্ষতির দিকগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের নেই প্রশ্নে আপোষহীণ সে বিষয়টি সকল নেতাকর্মীদের হৃদয়ে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা ছড়িয়ে দিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে আমরা কি পেয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা কেনো বিএনপি করি, অন্যদলের সঙ্গে বিএনপির পার্থক্য কি, মানুষ কেনো বিএনপিকে ভালোবাসে ও সমর্থন করে-এসব বিষয়ে তৃণমুল পর্যায় থেকে শুরু করে সকল নেতাকর্মীদের মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা তথা দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলে তারা দলের প্রতি আরও বেশী নিবেদিত হয়ে কাজ করতে পারবেন। তিনি বলেন, আগামীতে ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে এলাকায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে আরো শক্তিশালী, বেগবান ও সু-প্রতিষ্ঠিত করা হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলে বিএনপির রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। বিএনপি হলো অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতীক।
মানুষ তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতেই বিএনপিকে বার বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই। সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষায় বিএনপি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতেও যাবে। তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুৎ আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃস্টি ও রাস্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস শুরু করেছে, এর বিচার তিনি জনগণের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের বিচার করবেন।#
প্রিন্ট