দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মাদ আলীর ৫ বছরের শিশু কন্যা শামিমা দুরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউপির মাশালিয়া গ্রামে। গত পাঁচ মাস হলো পরীক্ষায় শিশুটির দুরারোগ্য ব্যাধিটি ধরা পড়েছে।
জানা যায়, ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। ব্যয়বহুল চিকিৎসায় গত কয়েক মাসেই শিশুটির নানা টেস্ট ও শরীরের রক্ত পুশ করতে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
চিকিৎসার টাকা জোগার করতে ভিটেমাটি বিক্রি, কিস্তি ও ধারদেনা হয়ে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে পড়ার কথা উল্লেখ করেন দিনমজুর পিতা মোহাম্মাদ আলী খা। তিনি বলেন, আমার পক্ষে আর মেয়ের চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। এখন মানুষের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছি সাহায্যের জন্য।
চিকিৎসকরা বলেছেন- ভালো টিটমেন্ট হলে মেয়ের জীবন রক্ষা সম্ভব। কিন্তু ১৫দিন পরপর তিনশত মি.লি করে ব্লাড পুশ করতে হয়। দুইদিন পরপর ব্লাড টেস্ট করার কথা। টাকার অভাবে এখন পর্যন্ত কেমো দিতে পারি নাই।
ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের নিকট থেকে অর্থ সাহায্যের আশায় মাছপাড়া সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়ী একান্ট খুলেছি। একাউন্ট নং ২২০৮৭০১০১০৯৫১। ব্যক্তিগত ০১৭৫৮-৫২৩১৩২ নং মোবাইলে যোগযোগসহ তার শিশু কন্যার জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে অর্থ সাহায্য কামনা করেন দরিদ্র দিনমজুর মোহাম্মাদ আলী।
বৃহস্পতিবার ৩ জুন দুপুরে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে নিজের দুরাবস্থার বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী-২ আসনের প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য ও পাংশা উপজেলা পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া বলেন, দরিদ্র মোহাম্মাদ আলীর শিশু কন্যা ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা শুনেছে।
সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য সরকারী ভাবে অর্থ সাহায্যের আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি। সে আলোকে আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাবে কোনো সাহায্য সে পায়নি। শিশুটির জীবন বাঁচাতে দেশ-বিদেশের ধনাঢ্য ও দানশীল ব্যক্তিদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে আহবান জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মিয়া।
প্রিন্ট