সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ চত্বরে জামাত- বিএনপির সন্ত্রাস ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের ঊদ্যোগে জেনেভা জাতিসংঘ সদর দপ্তর চত্বরে ব্রোকেন চেয়ার ভাস্কর্য্যের পাদদেশে আয়োজিত এই সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সহযোগী ও বন্ধুপ্রতীম সংগঠনের নেতা কর্মীরা। ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এবং সুইজারল্যান্ড ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কৌশলে ব্যবহার করে একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি জামাতের পরিকল্পিত নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার নিন্দা করেন বক্তারা।
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম।
বক্তারা বিএনপি জামাতের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নিন্দা করে সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান। সোশালমিডিয়ায় সরকার বিরোধী বিভিন্ন গুজবের প্রতিবাদ ও মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে আওয়ামী সংগঠনগুলোকে এক পতাকার তলে আসার আহবান জানানো হয় সমাবেশে।
এছাড়া প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের ব্যাংকের বদলে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোর প্ররোচনার বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া হয় সমাবেশে। প্রবাসে সরকারবিরোধী দালাল এবং দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের প্রচারণায় লিপ্তদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার সংকল্প জানানো হয়। এছাড়াও জামাত বিএনপির গুজব অগ্নি সন্ত্রাস ও একটি বৈধ সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র তুলে ধরে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কথাও উল্লেখ করেন বক্তাগণ।
শ্যামল খানের জ্বালাময়ী শ্লোগানে গলা মিলিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার শপথ নেন উপস্থিত সকলে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপীয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ বেপারী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা নুরুল্লাহ চৌধুরী, ব্লগার সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ অমি রহমান পিয়াল, ইউরোপিয়ান মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম মিয়া, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান সুমন, গোলাম মোর্শেদ, বিপুল তালুকদার, মোহাম্মদ ইকবাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর আলী, শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিভাকার পাল কল্যাণ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন বড়ুয়া, গৌড়ি চরন সসীম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সমীরণ বড়ুয়া যীশু, জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ প্রধান, শেখ দোহা, প্রচার সম্পাদক আইয়ান জুনায়েদ, ফারুকুল ইসলাম, ফুয়াদ হাসান, জেবুন্নাহার খান শশী, রিমি গৌড়ী চরন, লিমা বড়ুয়া প্রমুখ।
প্রিন্ট