ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কুষ্টিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তরুণের নাম মেহেদী হাসান ওরফে জিকু (২৬)। তিনি খাজানগর চাষীক্লাবপাড়া এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে। মতিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৯ নম্বর খাজানগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। র‍্যাব বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মহাসড়কের ওপর জনসাধারণের মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত মেহেদী। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ওই তরুণের বাবার পদপদবির বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মতিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। শুনেছি তার ছেলেকে র‍্যাব ধরেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’

১৭ জুলাই বিকেলে শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় ১৮ জুলাই রোহাজ আরেফিন ওরফে রাব্বি (২৪) নামের এক তরুণ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী রোহাজ আরেফিন  বলেন, ‘আমি ছাত্র। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সংগঠনে নেই। ঘটনার দিন আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

ঘটনার দিন বিকেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিন দফায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ফেলে যাওয়া সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। স্থানীয় লোকজন তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।

কুষ্টিয়া র‍্যাব ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার পর ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে খাজানগর এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে মেহেদীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেল পোড়ানোর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
মোঃ জিয়াউর রহমান দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি :

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কুষ্টিয়ায় সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত তরুণের নাম মেহেদী হাসান ওরফে জিকু (২৬)। তিনি খাজানগর চাষীক্লাবপাড়া এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে। মতিয়ার সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের ৯ নম্বর খাজানগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। র‍্যাব বলছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মহাসড়কের ওপর জনসাধারণের মোটরসাইকেল ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত মেহেদী। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বটতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম ওই তরুণের বাবার পদপদবির বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মতিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। শুনেছি তার ছেলেকে র‍্যাব ধরেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’

১৭ জুলাই বিকেলে শহরের চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় ১৮ জুলাই রোহাজ আরেফিন ওরফে রাব্বি (২৪) নামের এক তরুণ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার বাদী রোহাজ আরেফিন  বলেন, ‘আমি ছাত্র। কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো সংগঠনে নেই। ঘটনার দিন আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

ঘটনার দিন বিকেলে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিন দফায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ফেলে যাওয়া সাতটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। স্থানীয় লোকজন তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।

কুষ্টিয়া র‍্যাব ক্যাম্প থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার পর ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে খাজানগর এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে মেহেদীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


প্রিন্ট