রাজশাহীর তানোরে এক আদিবাসির প্রতারনায় ভুমিহীন এক কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় গত ২৯ জুলাই সোমবার ভুক্তভোগী উপজেলার মোহনপুর গ্রামের এলাহী বক্সের পুত্র রইস উদ্দিন বাদি হয়ে কচুয়া গ্রামের কমলা কর্মকারের পুত্র দুলাল কর্মকারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার জেল নম্বর ৮০ মৌজা কচুয়া, আরএস খতিয়ান নম্বর ০৭, আরএস দাগ নম্বর ১৮১, শ্রেণী ধানী, পরিমাণ ০.৩৬০০ একর জমি রয়েছে। বাদী রইস উদ্দিনের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছ, উক্ত তফশীল বর্ণিত ভিপি সম্পত্তি তিনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী লীজ গ্রহণ করেছেন। যাহার ভিপি কেস নম্বর ৩১/৮৮ ইং। সরকারি বিধি মোতাবেক তিনি নিয়মিত খাজনা-খারিজ পরিশোধ ও শান্তিপুর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছেন। রইস উদ্দিন জানান, তার বাড়ি থেকে জমির দুরুত্ব বেশী হওয়ায় তিনি আদিবাসি দুলাল কর্মকারকে জমি দেখভাল করার দায়িত্বে রাখেন। দুলাল সেখানে টিনের চালা তুলে জমি দেখভাল করার পাশাপাশি চোরাই মদ বিক্রি ও সেবন করে।
এদিকে ওই জমি হাতিয়ে নিতে মোহনপুর গ্রামের এক সার ও দাদন ব্যবসায়ী প্রভাবশালী নানা তৎপরতা শুরু করে। দাদন ব্যবসায়ীর নেপথ্যে মদদে দুলাল তার স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে উঠে বসবাস শুরু করে। এখন দুলাল ওই জায়গা থেকে না নেমে জোরপুর্বক দখল ও কোনো কাগজপত্র ছাড়াই নিজের বলে দাবি করছে। আর তাকে সাহস দিচ্ছেন সুদখোর সার ব্যবসায়ী।
এ ঘটনায় পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম আদালত রইস উদ্দিনের পক্ষে রায় দেন।কিন্ত্ত অবৈধ দখলদার দুলাল সম্পত্তির দখল না ছেড়ে উল্টে রইস উদ্দিনকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।এমনকি সম্পত্তিতে গেলে রইস উদ্দিনকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বলেন, উক্ত সম্পত্তি রইস উদ্দিনের, কিন্তু দুলাল কর্মকার জোরপুর্বক দখল করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুলাল কর্মকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রইস উদ্দিনের কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকায় তিনি এসব জমি কিনে নিয়েছেন।
প্রিন্ট