মাগুরাতে দু’দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ ও পেয়াজের বাজার অস্থির হয়ে গেছে, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম শুনলে মনে হয় আগুন লেগে গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ, পাইকেরি ও খুচরা বাজারে বেড়েছে এ দুটি নিত্যপণ্যের দাম।
বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪ শত টাকা, অপরদিকে কাঁচামরিচ (জিয়া) বিক্রি হচ্ছে ৫ শত টাকা। দুদিনের ব্যবধান কাঁচামরিচকে জিতে বেড়েছে ১৬০ টাকা। অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে সবজির দাম, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। কচুর মুখি ও ঝিঙ্গা কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকার বেশি, এমনকি আলুর দামও বেড়েছে ১৫ টাকা। অব্যাহতভাবে সবজির দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। তারা বলছেন, টানা বৃষ্টিতে একদিকে আয়-রোজগার কমে গেছে অন্যদিকে নিত্যপণ্যের এমন উর্ধ্বমুখির কারণে চিন্তার ভাজ পড়েছে কপালে। মাগুরা শহরের পুরাতন বাজারে সবজি কিনতে আসা বিভিন্ন এলাকা ও নিজনান্দুয়ালী গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, যেভাবে সবজির দাম বাড়ছে আমাদের মতো গরিব মানুষেরা বাঁচা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। দুইদিন আগেও যে সবজি ৪০থেকে ৫০ টাকায় নিয়েছি,সেটি আজ নিতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে একটা সবজিও ৬০থেকে ৭০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। মাগুরা পৌর এলাকার পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে চলছে সবজির বাজারে বেচাকেনা।
শহরের সকল সবজি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, গত পরশুদিন ২০ হাজার টাকার যে সকল সবজি কিনে এনেছি আজ একই পরিমাণ সবজি কিনতে হচ্ছে হচ্ছে ২৭ হাজার টাকায়। আমাদের বেশি দামে বাজার থেকে সবজি কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রয় করতে হবে বেশি দামে। যেভাবে কিনতেছি সেই ভাবেই বিক্রি করতেছি। ব্যবসায়ী মোতাহের মিয়া বলেন, শহরের ঢাকার রোড আরোতে এবং ঔ বাজারে যে সবজি ওঠে তার বেশিরভাগই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টি কারণে মাগুরা সব সবজির খেতে উৎপাদিত সবজি কম হচ্ছে বলছেন চাষিরা। তাই এখন বাজারে সবজি আসছে বিভিন্ন জেলার থেকে, বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এছাড়া বিভিন্ন জেলার থেকে সবজি আনতে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। তাই দাম বাড়তির দিকে, সবজির দাম আরো বাড়বে বলে জানান বাজারের ব্যবসায়ীরা।
প্রিন্ট