ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার ৫ টি কারণ

-ছবিঃ প্রতীকী।

অবৈধ পথে দেশে আসা মোবাইল ফোন আগামী জুলাই মাস থেকে আর চালু করা যাবে না। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) তালিকায় যেসব ফোন থাকবে না সেগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে শুরু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম ডিভিশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মোবাইল ফোনসেট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। একদিকে এর নিরাপত্তাজনিত বিষয় রয়েছে, অন্যদিকে এর একটি আর্থিক দিক রয়েছে। এই দিকগুলো হচ্ছে-

১. কেউ যাতে অবৈধভাবে হ্যান্ডসেট আনতে না পারে। দেশে যাতে বৈধভাবে অ্যাসেম্বল বা তৈরি করা যায়।

২. মোবাইল সেটগুলো নিবন্ধিত থাকলে আমদানিকারকরা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারবে না।

৩. কারও মোবাইল ফোন ছিনতাই বা চুরি করে অন্য কেউ সেটি বিক্রি বা ব্যবহার করতে পারবে না। চুরি হওয়া সেটগুলো উদ্ধার করা সহজ হবে।

৪. মোবাইল সিম, আইএমইআই এবং জাতীয় পরিচয়পত্র একসঙ্গে ট্যাগিং করা হবে। এতে করে একজনের নামে নিবন্ধিত মোবাইল অপরজনের মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যাবে না।

৫. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটন হলে সেটির বিরুদ্ধে দ্রুত এবং সহজে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে মোবাইল ফোনের আইএমইআই দিয়ে একটি ডাটাবেস তৈরি করছে বিটিআরসি। এই ডাটাবেসে যদি কোনো মোবাইল ফোনের তথ্য না থাকে তাহলে বিটিআরসি চাইলে সেটি বন্ধ করে দিতে পারে। সেজন্য নতুন ফোন সেট কিনতে হলে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে সেটি বৈধ কিনা। বিটিআরসি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি মোবাইল ফোনসেট রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার ৫ টি কারণ

আপডেট টাইম : ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুন ২০২১
অবৈধ পথে দেশে আসা মোবাইল ফোন আগামী জুলাই মাস থেকে আর চালু করা যাবে না। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) তালিকায় যেসব ফোন থাকবে না সেগুলো অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের স্বয়ংক্রিয় কার্যক্রম ১ জুলাই থেকে শুরু করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম ডিভিশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদুল আলমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, মোবাইল ফোনসেট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। একদিকে এর নিরাপত্তাজনিত বিষয় রয়েছে, অন্যদিকে এর একটি আর্থিক দিক রয়েছে। এই দিকগুলো হচ্ছে-

১. কেউ যাতে অবৈধভাবে হ্যান্ডসেট আনতে না পারে। দেশে যাতে বৈধভাবে অ্যাসেম্বল বা তৈরি করা যায়।

২. মোবাইল সেটগুলো নিবন্ধিত থাকলে আমদানিকারকরা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারবে না।

৩. কারও মোবাইল ফোন ছিনতাই বা চুরি করে অন্য কেউ সেটি বিক্রি বা ব্যবহার করতে পারবে না। চুরি হওয়া সেটগুলো উদ্ধার করা সহজ হবে।

৪. মোবাইল সিম, আইএমইআই এবং জাতীয় পরিচয়পত্র একসঙ্গে ট্যাগিং করা হবে। এতে করে একজনের নামে নিবন্ধিত মোবাইল অপরজনের মোবাইল সেটে ব্যবহার করা যাবে না।

৫. মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটন হলে সেটির বিরুদ্ধে দ্রুত এবং সহজে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে মোবাইল ফোনের আইএমইআই দিয়ে একটি ডাটাবেস তৈরি করছে বিটিআরসি। এই ডাটাবেসে যদি কোনো মোবাইল ফোনের তথ্য না থাকে তাহলে বিটিআরসি চাইলে সেটি বন্ধ করে দিতে পারে। সেজন্য নতুন ফোন সেট কিনতে হলে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে যে সেটি বৈধ কিনা। বিটিআরসি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ কোটি মোবাইল ফোনসেট রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।