নরসিংদীর মাধবদীতে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কমিশনার ও থানায় অভিযোগ করেও এ বিষয়ে কোনো সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী। পরবর্তীতে আদালতের শরণাপন্ন হলে, কাজ বন্ধ করলেও, প্রাচীর নির্মাণ করতে নানা অপকৌশল চালাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।
জানা যায়, মাধবদী থানার আটপাইকা গ্রামের সিদ্দিক ভূঁইয়ার ছেলে মো: আশরাফ ভূঁইয়ার সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত শফিউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে হুমায়ুন কবির ভূঁইয়ার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ রয়েছে। হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া প্রতিপক্ষের ক্ষতি করতে সর্বদা সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত (৮ জুন) সোমবার সকালে হুমায়ুন নিজের জমির মৌজা সীমানা নির্ধারণ না করেই আশরাফ ভূঁইয়ার জমির সীমানায় জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় কমিশনারের শরণাপন্ন হলে ঘটনাস্থলে এসে কমিশনার বাধা দিলেও কাজ বন্ধ করেনি প্রতিপক্ষ। পরবর্তীতে থানায় অভিযোগ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উপায় না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন আশরাফ ভূঁইয়া। নরসিংদী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মাধবদী থানার অফিসার ইনচার্জকে নালিশা জমিতে শান্তি বজায় রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখলেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নানা অপকৌশল চালাচ্ছেন হুমায়ুন এমনটাই জানান আশরাফ।
এ বিষয়ে মোবাইলে হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া জানান, অভিযোগ করার আগেই আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি, অল্প একটু কাজ বাকি আছে, তাছাড়া দুটি আলাদা আলাদা মৌজার জমি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতি হয়ে ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। তাই বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের।
প্রিন্ট