বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য ভারত থেকে মাইন প্রটেকটেড ১১টি সামরিক যান আমদানি করা হয়েছে। সামরিক যানগুলোর আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ লাখ ৫ হাজার ৩৯ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ভারতের বনগাঁর পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে এসব সামরিক যান বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলের দিকে সামরিক যানগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হয়।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর সামরিক শক্তি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ডিফেন্স পারচেজ এসব সামরিক যান আমদানি করেছে। যা সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম এ ধরনের সামরিক যান বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে।
ঢাকার এমআর লজিস্ট্রিক নামের একটি সিএন্ডএফ (কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট) প্রতিষ্ঠান বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার দিকে সামরিক যানগুলো খালাস করে।
সিএন্ডএফ কতৃপক্ষের বেনাপোল অফিসের প্রতিনিধি জানান, ‘সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত এই ১১টি সামরিক যান খালাস করে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে। এর রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের টাটা অ্যানভানসড সিস্টেমস লিমিটেড।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, আমদানি করা এসব সামরিক যানগুলো বন্দরের হেফাজতে রাখা ছিল। কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বিকেলে খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্রুত খালাসে বন্দরের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স- ২০২৪ অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সামরিক সরঞ্জামের তালিকার তথ্য মতে, দেশে এর আগে মোট ২০৫টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রোটেকটেড যান ক্রয় করা হয়েছিল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকায় দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৪৪ ও কানাডা থেকে ৪৪টি মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যামবুশ প্রোটেকটেড যান কেনা হয়।
প্রিন্ট