মাগুরার মহম্মদপুরে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার পায়নি প্রায় অর্ধেক পরিবার। তালিকা প্রণয়ন ও বণ্টনে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঈদসামগ্রী বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে।
২৭ মে রাতের আঁধারে বিনোদপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোকদের মধ্যে এসব সামগ্রী বিতরণকালে জনতার হাতে কয়েকজন ধরা পড়ে। পরে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে জনতা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
উপজেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ বিপাকে পড়ায় এবং ঈদ আনন্দকে উৎসবমুখর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ করেন। যার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম।
ঈদসামগ্রী বিতরণে মহম্মদপুর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের মধ্যে ১৫ হাজার ৯৪৭টি অসহায় পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। যার মধ্যে বাবুখালি ইউনিয়নে ১৫৩০, বিনোদপুর ইউনিয়নে ২২৭৪, দীঘা ইউনিয়নে ১৭০৭, রাজাপুরে ১৫৩১, বালিদিয়া ২১৫৭, মহম্মদপুরে ২০৭৭, পলাশবাড়িয়া ২০৯৪ এবং নহাটা ইউনিয়নে ২১২৭টি অসহায় পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। পরিবারপ্রতি ৪৫০ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রিন্ট