ভেড়ামারায় বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগে সোনাভান নামক ৯৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার লাশ কবর থেকে দাফনের ৮ মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে। সোনাভানের মেয়ে কোহিনূর আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে ভেড়ামারা চাঁদগ্রাম গোরস্থান থেকে এ লাশ তোলা হয়।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাতুল করিম মিজান, মেডিকেল অফিসার লতিফুর কবির, ভেড়ামারা থানা পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে আজ বুধবার দুপুরে কবর থেকে লাশ তােলা হয়।
২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর এ গোরস্থানে সোনাভানের দাফন কার্য সম্পন্ন হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদগ্রাম গোরস্থান কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান।
এ সময় বাদী কোহিনুর আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই আজিজুল হক ও ভাবী জাহানারা নার্গিস লাকিসহ তার শশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজন মাকে জমিজমার লোভে আমার মাকে মৃত্যুর তিন মাস (১৮ জুলাই-১৭ অক্টোবর) আগে আমার ভাইয়ের বাসা কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে যায়। সেখান মাকে বিষ প্রয়োগ করে। তার তিনদিন পরেই তিনি মারা যায়। পরে স্বজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আমার ভাই ও ভাবিসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া কোর্টে মামলা দায়ের করি। যার মামলা নাম্বার ১/২০২৪।
মামলার প্রধান আসামি আজিজুল হক বিষ প্রয়োগে হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার মা ৯৫ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন। এখানে অযথাই আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। জমিজমা সংক্রান্ত যে ঝামেলাটুকু আছে তা আমি মিটিয়ে দিতে সবসময় প্রস্তুত আছি।
ভেড়ামারা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা সোনাভান বেগমের লাশ উত্তোলন করে এর সুরতহাল সম্পূর্ণ করে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাতুল করিম মিজান বলেন, সোনাভান বেগমের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তার মেয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে তার স্বজন, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ও ডাক্তারের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল করা হয়েছে। এখন কুষ্টিয়ায় লাশ ময়না তদন্ত করে সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করে ঢাকা ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হবে।
প্রিন্ট