ঢাকা , সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জাতীয় লেখক পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা ও আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের অপসারণের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান Logo চাটমোহরে ৫ লক্ষাধিক টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস Logo নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বৃদ্ধকে জবাই করে হত্যা Logo বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র পরিষদ ফরিদপুর সদর উপজেলা শাখার শরবত বিতরণ Logo মাগুরায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র তীর্থ রুদ্রর খুনের প্রধান আসামি গ্রেফতার Logo তানোরের কামারগাঁ ইউপি উপ-নির্বাচনে মসলেম এগিয়ে Logo বাংলাদেশ দূতাবাস ডেনমার্কে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত Logo সাংবাদিকদের সাথে অশৌজন্য মূলক আচরণের প্রতিবাদে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর পরিচালক হুমায়ূন কবিরকে প্রত্যাহারের দাবি প্রেসক্লাবের 
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

টানা চতুর্থ দিনের মতো চলছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্ম বিরতির পালন করছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার টানা  চতুর্থদিনে ‌ ও কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত সোমবার  সকাল থেকে দেশের সবগুলো সমিতিতে একযোগে কর্মবিরতি পালন শুরু করে। আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারনে সারাদেশে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, সারাদেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি। সমিতির  কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারা ঈদ বোনাস পান না, একদিন অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা যায়, তাদের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা নাই। কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারনে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে  দেশের ৮০ টি পল্লী  বিদ্যুৎ  সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।  একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে গ্রাহকের হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। বিতরন লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না বলেও জানান তারা।
আন্দোলন কারীরা আরও বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে  চলতি বছরের ৫ই মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই। তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুণরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো।
সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো
১। স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি-পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। ভবিষ্যত বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মচারী-কর্মকর্তাবৃন্দ।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় লেখক পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

টানা চতুর্থ দিনের মতো চলছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি

আপডেট টাইম : ০৩:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্ম বিরতির পালন করছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার টানা  চতুর্থদিনে ‌ ও কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত সোমবার  সকাল থেকে দেশের সবগুলো সমিতিতে একযোগে কর্মবিরতি পালন শুরু করে। আজ বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারনে সারাদেশে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে, সারাদেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি। সমিতির  কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারা ঈদ বোনাস পান না, একদিন অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা যায়, তাদের কোন নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা নাই। কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারনে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে  দেশের ৮০ টি পল্লী  বিদ্যুৎ  সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।  একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে গ্রাহকের হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। বিতরন লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না বলেও জানান তারা।
আন্দোলন কারীরা আরও বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে  চলতি বছরের ৫ই মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই। তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুণরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো।
সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো
১। স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মানে আরইবি-পিবিএস একীভূত করণসহ অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
২। ভবিষ্যত বিদ্যুত ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সকল চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মচারী-কর্মকর্তাবৃন্দ।