মাগুরায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ৩ জুলাই বেলা ১১.৩০ টার সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মাগুরা জেলা কার্যালয় ইসলামপুর এলাকায় মাগুরা জেলা বিএনপি এর আয়োজনে সমাবেশ হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, মাগুরা জেলা বিএনপি আহবায়ক মোঃ আলী আহম্মদ ও সঞ্চালনায় মাগুরা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আখতার হোসেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক এ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মাগুরা জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, মাগুরা জেলা বিএনপি সদস্য আলহাজ্ব মনোয়ার হোসেন খান, পৌর বিএনপি আহবায়ক আলহাজ্ব কিজিল হোসেন খান, সদর থানা বিএনপি আহবায়ক কুতুবউদ্দিন কুতুব, কৃষকদল আহবায়ক রুবায়েত হোসেন খান, মাগুরা জেলা যুবদলের সভাপতি এ্যাডভোকেট ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, মাগুরা জেলা ছাত্র দলের সভাপতি আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের সবুজ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসু, মাগুরা সদর থানা ছাত্র দলের আহবায়ক মোঃ মাহফুজ হাসান, বিএনপির মহিলা কর্মী মুন্নি বেগম, রুবি বেগম, সাবেক যুবদলের সদস্য মোঃ সাহেব আলী, শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মন্টু মোল্লা ও জেলা যুবদলের সদস্য মোঃ শামীম হোসেন সহ প্রমুখ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডঃ এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপরাধ তিনি বাংলাদেশের আফুরন্ত জনপ্রিয় নেত্রী, তিনি জিয়া পরিবারের একজন মানুষ, স্বাধীনতা ঘোষকের স্ত্রী, বাংলাদেশের উন্নয়নের সমস্ত রুপকারের অংশীদার। যদি আজকে বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করতে পারতেন বা অন্যের কাছে দাসত্বের পদানত করতেন তাহলে তার অপরাধ থাকতো না। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও তার স্ত্রী মুক্ত না, সে বাংলার মাটিতে তার জায়গা হয় না, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ হয়, সে বাড়িতে আসতে পারে না, তার সন্তানের লাশ দেখতে হয়।
তার মানে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে নিঃস্ব মানুষ হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া, স্বামী হারিয়েছেন দেশের জন্য সন্তান ও ঘর হারিয়েছেন মিথ্যা ২ কোটি টাকার মামলার জন্য। শেখ হাসিনা ফ্যাসিস সরকার যতবার তার বাবার নাম না নেয় তার থেকেও বেশি ভয়তে তারেক জিয়া ও বেগম খালেদা জিয়ার নাম নেয়। দেশে এখন চরমভাবে দ্রব্য মূল্যর উর্দ্ধগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ১৯৭৩ সালে তারা দেশে দূর্ভিক্ষ এনেছিলো ১৯৭৩ সালে ক্ষমতায় বসতে চাই ভোটের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছিলো ১৯৯৬ সালে কেয়ার টেকার সরকারের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে, ২০০৭-০৮ সালে মঈনউদ্দীন ও ফখরুদ্দিনের সুকৌশলে ক্ষমতায় বসে, ২০১৪ সালে ভোট কেন্দ্রে ভোটার যায়নি কুত্তা ছিলো ভোটের নির্বাচন মাঠে, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে ব্যালট বাক্স রাতেই ভরে গিয়েছে, ২০২৪ সালের ভোটের নির্বাচন মাঠে ছাগল ও ভেড়া দেখা গিয়েছে তারা তাদের মতো করে নির্বাচন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার বক্তব্য হলো এই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের নয়নের মনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি করতে গেলে আগামী দিনের আন্দোলনে সবাইকে অংশ গ্রহণ করতে হবে ও শরীক হতে হবে।
প্রিন্ট