ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দিনে উপার্জন ৫০০ টাকা

নওগাঁর আত্রাইয়ে আষাঢ় শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির কারণে বেড়েছে ছাতার কদর। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে।পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ করতে ছাতার কারিগরের কাছে ভীর জমাচ্ছে লোকজন।ফলে ছাতার কারিগরদের কর্ম ব্যাস্ততা বহু গুণে বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসেছে ভাসমান ছাতার কারিগররা।  এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে কারিগরেরা হাটে, বাজারে, রাস্তার পাশে বসে ছাতা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছে। তখন অন্য পেশার লোকজন অলস সময় পার করছে।  এসময় ছাতার কারিগরদের নিশ্বাস নেওয়ার সময় নেই।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বর্ষা মৌসুমে ছাতার কারিগরদের ব্যাস্ততা চোখে পরার মতো।তার নেওয়া খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। কারিগররা রাস্তার পাশে ছাতা মেরামতের যন্ত্রপাতি নিয়ে বসেছেন। বর্ষার সময় আবার কেউ অন্যের ঘরের বারান্দায় বসে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। কারিগররা কাজের উপর ভিক্তি করে মজুরি নিচ্ছেন।

দিঘা গ্রামের কারিগর আমজাদ হোসেন বলেন বাবার কাছ থেকে শিখে সে ১৫-১৬ বছর ধরে একাজে নিয়োজিত।বছরের ছয় মাস এ পেশায় কাজ করেন আর বাকি সময় অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে দৈনিক ৮-১২ টি ছাতা মেরামত করেন। এতে আয় করেন ৪৫০-৫০০ টাকা।

আরেক কারিগর কালিকাপুর গ্রামের আফজাল বলেন, আমি  ১৫ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত আছি। আগে এসময়ে বেশি উপার্জন হতো। কিন্তু এখন মানুষ পায়ে হেঁটে বাহিরে খুব কম বের হয়, বেশি সময় যানবাহনে চলাফেরা করে। যার জন্য ছাতার ব্যবহার  কম হয়।

আফজাল  আরও বলেন, বছরের ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি এবং অন্য সময় মাছের ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি।

আফজালের কাছে আসা একজন ( জয়নাল)  বলেন তার বাড়িতে একটি ছাতা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে ছিল। সেটি মেরামোত করতে এসেছি। একই কারিগরের কাছে আসা বজলু বলেন, নতুন একটি ছাতা ক্রয় করতে ৩০০-৩৫০ টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে পুরাতন ছাতাটি মেরামত করে নিলেই কাজ চলবে; তাতে কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।

১ং শাহাগোলা ইউনিয়নের ২ নং ওর্যাডের মেম্বার আসরাফ আলী বলেন বছরের অন্য সময় ছাতার কারিগরদের তেমন কাজ হয় না। তাই বর্ষার জন্য ছাতার কারিগরদের অপেক্ষা করতে হয়। এসময় তাদের ব্যাবসা ভালো হয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

দিনে উপার্জন ৫০০ টাকা

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪
আব্দুল জব্বার ফারুক, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

নওগাঁর আত্রাইয়ে আষাঢ় শ্রাবণ মাসের বৃষ্টির কারণে বেড়েছে ছাতার কদর। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে।পাশাপাশি ত্রুটিযুক্ত পুরাতন ছাতা মেরামতের কাজ করতে ছাতার কারিগরের কাছে ভীর জমাচ্ছে লোকজন।ফলে ছাতার কারিগরদের কর্ম ব্যাস্ততা বহু গুণে বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসেছে ভাসমান ছাতার কারিগররা।  এলাকার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়ে কারিগরেরা হাটে, বাজারে, রাস্তার পাশে বসে ছাতা মেরামতের কাজ করে যাচ্ছে। তখন অন্য পেশার লোকজন অলস সময় পার করছে।  এসময় ছাতার কারিগরদের নিশ্বাস নেওয়ার সময় নেই।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বর্ষা মৌসুমে ছাতার কারিগরদের ব্যাস্ততা চোখে পরার মতো।তার নেওয়া খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। কারিগররা রাস্তার পাশে ছাতা মেরামতের যন্ত্রপাতি নিয়ে বসেছেন। বর্ষার সময় আবার কেউ অন্যের ঘরের বারান্দায় বসে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন। কারিগররা কাজের উপর ভিক্তি করে মজুরি নিচ্ছেন।

দিঘা গ্রামের কারিগর আমজাদ হোসেন বলেন বাবার কাছ থেকে শিখে সে ১৫-১৬ বছর ধরে একাজে নিয়োজিত।বছরের ছয় মাস এ পেশায় কাজ করেন আর বাকি সময় অন্য পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে দৈনিক ৮-১২ টি ছাতা মেরামত করেন। এতে আয় করেন ৪৫০-৫০০ টাকা।

আরেক কারিগর কালিকাপুর গ্রামের আফজাল বলেন, আমি  ১৫ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত আছি। আগে এসময়ে বেশি উপার্জন হতো। কিন্তু এখন মানুষ পায়ে হেঁটে বাহিরে খুব কম বের হয়, বেশি সময় যানবাহনে চলাফেরা করে। যার জন্য ছাতার ব্যবহার  কম হয়।

আফজাল  আরও বলেন, বছরের ছয় মাস আমি এ পেশায় থাকি এবং অন্য সময় মাছের ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করি।

আফজালের কাছে আসা একজন ( জয়নাল)  বলেন তার বাড়িতে একটি ছাতা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে ছিল। সেটি মেরামোত করতে এসেছি। একই কারিগরের কাছে আসা বজলু বলেন, নতুন একটি ছাতা ক্রয় করতে ৩০০-৩৫০ টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে পুরাতন ছাতাটি মেরামত করে নিলেই কাজ চলবে; তাতে কিছু টাকা সাশ্রয় হবে।

১ং শাহাগোলা ইউনিয়নের ২ নং ওর্যাডের মেম্বার আসরাফ আলী বলেন বছরের অন্য সময় ছাতার কারিগরদের তেমন কাজ হয় না। তাই বর্ষার জন্য ছাতার কারিগরদের অপেক্ষা করতে হয়। এসময় তাদের ব্যাবসা ভালো হয়।


প্রিন্ট