ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদরের জাটিগ্রামের বাসিন্দা মরিসাস প্রবাসী আকাশ মিয়া। তিনি গত ২০১৯ সাল থেকে একাধারে আলফাডাঙ্গা-কাশিয়ানীর উপজেলার শত শত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো যেন প্রবাসী আকাশ মিয়ার নেশা।
তার হাতের স্পশে বদলে গেছে এলাকার অনেক মসজিদ মাদ্রাসা। অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এই আকাশ মিয়া। শীত নিবারণ করার জন্য অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র হিসেবে তাদের মাঝে কম্বল তিবরণ করেন।
কোনো রাজনীতি করার আশায় না শুধু মাত্র মানুষের সেবা করার জন্য তার যতো আয়োজন। মরিশাস থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসলে এলাকাবাসী যেন আকাশের চাঁদ হাতে পায়। তাদের কাছে আকাশ মিয়া মানেই ভিন্ন কিছু। অসহায় মানুষের আস্থার ঠিকানা আকাশ মিয়া। বাড়ি আসার পর যদি কারো অসুবিধার কথা শুনতে পায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায়, তাদের পাশে দাড়ায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার জাটিগ্রাম এলাকার জাকির মিয়ার ছেলে মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া। তিনি
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় প্রবাসে থেকে এলাকার গুনিজনের মাধ্যমে তিনি একটি তালিকা তৈরি করেন সাহায্য করার জন্য। খাদ্য সহায়তার কার্ড তৈরি করেন। এলাকার গুনিজনের মাধ্যমে তিনি নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। পাশিপাশি তিনি সমাজিক অনেক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এলাকার মসজিদ ও মাদ্রাসার স্থাপনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। কোনো মানুষ তার কাছ থেকে খালি হাতে ফেরে না।
সাধ্যমত চেষ্টা করেন মানুষের পাশে দাড়ানোর। এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, আকাশ মিয়া মানুষের জন্য যা করেন সত্যি তা বিরল। প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমাদের নিত্যপ্রয়জনীয় জিনিসপত্র ও নগদ অর্থ দিয়ে মানুষের সেবা করছেন। এ বছর ৪টি গরু
কোরবানী করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভাগ করে দিয়েছেন নিজের হাতে।
অনেক মসজিদ তৈরি করছেন। আকাশ মিয়ার জন্য আমরা সত্যি গর্ভ করি। যাহার ভিতর কোনো অহংকার নেই। সাদা মনের একজন মানুষ। সবসময় মানুষের সাথে হেসে কথা বলেন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো আকাশ মিয়ার নেশা।
বারইপাড়া সংঘর্ষে এক ভ্যানচালক নিহত হলে খবর সুনে সেখানে গভীর রাতে ছুটে যান আকাশ মিয়া। তার দুই সন্তানের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। ভবিষৎ এ তাদের সবরকম সহযোগীতা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
মরিশাস প্রবাসী আকাশ মিয়া জানান, আমি কোনো দিন ভবিষৎএ রাজনীতি করবো না। আমি মানুষের সেবা করে শান্তি পাই। আমি আজীবন মানুষের পাশে থেকে এভাবে সেবা করতে চাই। তিনি সকলের কাছে তার জন্য দোয়া চাইলেন।
প্রিন্ট