বার উপবৃত্তির টাকার ওপর নজর পড়েছে প্রতারকদের। মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিভাবকদের নগদ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কৌশলে জেনে নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মামলায় প্রতারকচক্রের ৩ জনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, গত চার মাসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণে গত বছরের ডিসেম্বরে ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। চুক্তি অনুয়ায়ী প্রতি চার মাস পরপর একজন শিক্ষার্থীর মায়ের নগদ অ্যাকাউন্টে চলে যাবে উপবৃত্তি বাবদ সাড়ে ৪০০ টাকা।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকার ওপরও নজর পড়েছে প্রতারকদের। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের পরিচয় দিয়ে একটি চক্র সুবিধাভোগীদের ফোন করে কৌশলে নিয়ে নিচ্ছে তাদের পিন ও ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি। হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
বিষয়টি নজরে এলে মামলা করা হয় নগদের পক্ষ থেকে। গোয়েন্দা পুলিশ রংপুর ও নরসিংদীতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকচক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতারক আসাদুল ও আবু বক্কর তাদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে আসা অভিভাবকদের কাছ থেকে কৌশলে নগদ অ্যাকাউন্টের পিন পাসওয়ার্ড জেনে নিত। পরে তাদের অ্যাকাউন্টে এই পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে বৃত্তির টাকা চক্রের অন্য সদস্যদের সেন্ড মানি করত। চক্রের আরেক সদস্য খবিরুল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী। সেও কৌশলে অভিভাবকদের কাছ থেকে পিন নিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত।
ভুক্তভোগী অভিভাবক শাহনাজ পারভীন বলেন, সেই দোকানে উঠাই (টাকা) সেই দোকানে গিয়ে কই দেখেন তো ভাই আমার মোবাইলে টাকা আইছি নি? দেইখ্যা কয় এর আগে মোবাইল তো অন্য কাউরে দেখাইছেন? কই স্কুলের দপ্তরি। কয় হেয় আপনার মোবাইলে টাকা উঠায় নিছেগো।
গত চার মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ডিবি সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার শরীফুল ইসলাম বলেন, প্রতারকদের উদ্দেশে আমাদের বক্তব্য হলো আপনি যে কৌশলে প্রতারণা করেন না কেন, বাংলাদেশ পুলিশ এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্ষম প্রতারকদের আইনে আওতায় নিয়ে আসার জন্য।
প্রতারকদের হাত থেকে নগদ গ্রাহকদের সুরক্ষা পেতে তাদের সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি নিজেদের নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছে প্রতিষ্ঠানটি।
নগদ লিমিটেডের চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মন সুখন বলেন, যারা প্রতারণা করার চেষ্টা করছেন। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের ধরার চেষ্টা করছি।
প্রিন্ট