প্রতিষ্ঠানিক কোন ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও চার বছর ধরে চেম্বর খুলে দাঁতের চিকিসা করে আসছিলেন ডা: জাহিদ হাসান রতন (৪৩) নামের এক ব্যক্তি। নামের আগে ডাক্তার পদবি। নামের পিছনে লাগিয়েছেন বিশেষজ্ঞ। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কের রতন ডেন্টাল কেয়ার সেন্টারে ব্যবহার করছিলেন নামীদামি ডিগ্রি। আসলেই তিনি এস এস সি টানিটুনি তিনবারের বার পাস করেই প্রতারণের আশ্রয নিয়ে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । শেস রক্ষা হয়নি। অবশেষে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা পড়েন এই ভুয়া চিকিৎসক।
ভুয়া চিকিৎসকের নাম জাহিদ হাসান রতন (৪৩)। তিনি কুমারখালী পৌরসভার এলংগী এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় চার বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দাঁতের চিকিৎসা দিতেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় কুমারখালীর ওই রতন ডেন্টাল কেয়ার সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভুয়া চিকিৎসককে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল আরাফাত জানান, তিনবারের মাথায় শুধু এসএসসি পাস করে ব্যবস্থাপত্র লেখার প্যাডে নামীদামি ডিগ্রি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তি প্রতারণা করছিলেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্রায় চার বছর ধরে দন্তরোগীদের সেবা দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করে আসছিলেন রতন। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভুয়া চিকিৎসককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্ট