ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত, আহত ৫ Logo সমাজসেবার বিশেষ অবদানে সম্মাননা স্মারক পেলেন দৌলতদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান রহমান মন্ডল Logo তানোরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী Logo খোকসায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এমপি আব্দুর রউফ Logo লালপুরে প্রেমিককে কুপিয়ে জখম, প্রেমিকা আটক Logo গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র ও ট্রলির সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ৪ Logo নগরকান্দায় প্রবীণ গ্রাম্য ডাক্তারকে পিটিয়ে আহত করলো কথিত সাংবাদিক Logo চরভদ্রাসনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী মেলা Logo তানোরে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণে ব্যাপক সাড়া
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা মাস্টার্স পাস করে বেকার , সংগীতে ও রয়েছে তার দারুণ প্রতিভা !

কুষ্টিয়ার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক মেয়ে। অন্ধত্বকে জয় করে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অভাবের সংসারে জন্ম নেওয়া এই অঞ্জনা আজ সবার অনুপ্রেরণা। টিউশন করে সংসারের হালধরা অঞ্জনার স্বপ্ন ভালো একটা চাকরির। সংগীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই এই প্রতিবন্ধী।
কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মান্দারী হালদারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট অঞ্জনা হালদার। কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় অঞ্জনার বাবা-মায়ের যেন আপসোসের সীমা ছিল না। তারা নানা রকমের কটুক্তি করতেন অঞ্জনাকে নিয়ে। তবুও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই সন্তানকে অতি আদরে বড় করে তোলেন বাবা-মা।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় অঞ্জনাকে ভর্তি করা হয় স্কুলে। অনেক অসহযোগিতা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।
অঞ্জনা বলেন, ‘আমি যখন স্থানীয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন পরিচিতরা যেমন নানা রকম টিপ্পনী কাটত, তেমনি শিক্ষকরাও কথা শোনাতে ছাড়তেন না। সে সময় এক শিক্ষক বলেছিলেন, আমি কলমে লিখে দিতে পারি, এই মেয়ে কোনো দিন এসএসসি পাস করতে পারবে না।
অঞ্জনা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শেষ ধাপ অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে নিয়েছেন কঠোর অধ্যাবসায়ে। পাশাপাশি তিনি সংগীত চর্চাও করেন পরম যতেœ। এরই মধ্যে সংগীতে স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
অঞ্জনা বলেন, ‘জন্ম থেকেই দারিদ্র্যতার সঙ্গে নিরন্তর লড়াই আমার। কিছু দিন আগে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী চা দোকানি বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
এ কারণে সংসারে অভাব-অনটন আরও বেড়েছে। কয়েকটি টিউশন করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছি। তবে অনেকেই আমার কাছে ছেলেমেয়েদের পড়াতে চান না। গান শেখাতেও চান না।
অঞ্জনার প্রত্যাশা যোগ্যতানুযায়ী একটি সরকারি চাকরির। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি।
অঞ্জনার বাবা মান্দারী হালদার বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়ালেখা করিয়েছি। তবে মেয়ে এখনো একটি ভাল চাকরি না পাওয়ায় দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছি। আমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে হলেও একটা সরকারি চাকরি চাই।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকালের পর থেকে যদি কারো ঘরে দেশীয় অস্ত্র পাওয়া যায়, তার অবস্থা হবে ভয়াবহঃ -সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান শাকিল

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অঞ্জনা মাস্টার্স পাস করে বেকার , সংগীতে ও রয়েছে তার দারুণ প্রতিভা !

আপডেট টাইম : ০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
কুষ্টিয়ার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক মেয়ে। অন্ধত্বকে জয় করে তিনি অর্জন করেছেন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। অভাবের সংসারে জন্ম নেওয়া এই অঞ্জনা আজ সবার অনুপ্রেরণা। টিউশন করে সংসারের হালধরা অঞ্জনার স্বপ্ন ভালো একটা চাকরির। সংগীত সাধনাতেও পিছিয়ে নেই এই প্রতিবন্ধী।
কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মান্দারী হালদারের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট অঞ্জনা হালদার। কিন্তু দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ায় অঞ্জনার বাবা-মায়ের যেন আপসোসের সীমা ছিল না। তারা নানা রকমের কটুক্তি করতেন অঞ্জনাকে নিয়ে। তবুও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই সন্তানকে অতি আদরে বড় করে তোলেন বাবা-মা।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় অঞ্জনাকে ভর্তি করা হয় স্কুলে। অনেক অসহযোগিতা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি।
অঞ্জনা বলেন, ‘আমি যখন স্থানীয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন পরিচিতরা যেমন নানা রকম টিপ্পনী কাটত, তেমনি শিক্ষকরাও কথা শোনাতে ছাড়তেন না। সে সময় এক শিক্ষক বলেছিলেন, আমি কলমে লিখে দিতে পারি, এই মেয়ে কোনো দিন এসএসসি পাস করতে পারবে না।
অঞ্জনা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার শেষ ধাপ অর্থাৎ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে নিয়েছেন কঠোর অধ্যাবসায়ে। পাশাপাশি তিনি সংগীত চর্চাও করেন পরম যতেœ। এরই মধ্যে সংগীতে স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
অঞ্জনা বলেন, ‘জন্ম থেকেই দারিদ্র্যতার সঙ্গে নিরন্তর লড়াই আমার। কিছু দিন আগে সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী চা দোকানি বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।
এ কারণে সংসারে অভাব-অনটন আরও বেড়েছে। কয়েকটি টিউশন করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছি। তবে অনেকেই আমার কাছে ছেলেমেয়েদের পড়াতে চান না। গান শেখাতেও চান না।
অঞ্জনার প্রত্যাশা যোগ্যতানুযায়ী একটি সরকারি চাকরির। চাকরি পেলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান তিনি।
অঞ্জনার বাবা মান্দারী হালদার বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়ালেখা করিয়েছি। তবে মেয়ে এখনো একটি ভাল চাকরি না পাওয়ায় দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছি। আমার মেয়ের দিকে তাকিয়ে হলেও একটা সরকারি চাকরি চাই।