নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫০টি তেই প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে
সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৬৪টি। শিক্ষক সল্পতা এবং প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলোতে একাডেমিক ও প্রশাসনিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।ফলে সংশ্লিষ্ট স্কুল গুলোতে শিক্ষা ব্যবস্হা ভেঙে পড়েছে।
আত্রাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৩০টি এর মধ্যে ৫০টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। যেসব স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলো হচ্ছে আটগ্রাম সপ্রাবি, আত্রাই আদর্শ, বাজেধনেশ্বর, বাঁকা সপ্রাবি, বড়সাওতা সপ্রাবি, বড়কালিকাপুর, ভবাণীপুর সপ্রাবি, ভাঙ্গালাজাঙ্গাল, হাটকালুপাড়া সপ্রাবি, হাটুরিয়া সপ্রাবি, জগদাশ সপ্রাবি, খরসতী সপ্রাবি, মীরপুর সপ্রাবি, নবাবেরতামু সপ্রাবি, নৈদাঘী সপ্রাবি, পতিসর সপ্রাবি, সমসপাড়া সপ্রাবি, শলিয়া সপ্রাবি সুদর্শনা সপ্রাবি, রসুলপুর সপ্রাবি, বহলা সপ্রাবি জয়নাথপুর সপ্রাবি, হরিপুর সপ্রাবি, আন্দরকোটা, চরকতলা সপ্রাবি, গোয়ালবাড়িয়া সপ্রাবি, বড়াইকুরি সপ্রাবি, বামনীগ্রাম সপ্রাবি, তেঘরী সপ্রাবি, তারাটিয়া বড়ডাঙ্গা, মনিয়ারী, জগদিসপুর সাধনগর, পাইকড়া দঃপাড়া, নন্দীগ্রাম, লাকবাড়ী কালিকাপুর পূর্ব, কাসুন্দা সপ্রাবি, দড়গাপাড়া কয়াপাড়া সপ্রাবি, ঝনঝনিয়া, পারগুড়নই সপ্রাবি হিসাবদিনগর, তেজনন্দী সপ্রাবি এর প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব বিদ্যালয়ের কার্যক্রম আর সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৬৪টি। এসব স্কুলের শিক্ষক সল্পতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্হা একেবারে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সহকারী শিক্ষক সল্পতার কারণে সংশ্লিষ্ট স্কুলের অনান্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দানে হিমসিম খাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের একাধিক সহকারী শিক্ষকগণ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দূচিন্তা বেড়েই চলেছে। তাদের দাবি অতিশিঘ্রই বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা হোক। অন্যথায় শিক্ষা ব্যবস্হা ধীরে ধীরে ক্ষতির দিয়ে ধাপিত হতে পারে। আত্রাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃমাযহারুল ইসলাম জানান শূন্য পদ পূরণের জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে আশা করি খুবশীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি।
প্রিন্ট