ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কবিরাজের লাশ উদ্ধার Logo পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার Logo শালিখার আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ Logo ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী সোহেল গ্রেপ্তার Logo পাংশায় শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি Logo কুষ্টিয়ায় উলামা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo নির্বাচন ছাড়া কোন সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারেরা জন্ম নেয়ঃ -আব্দুস সালাম Logo ভেড়ামারায় মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান, ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরার হৃদয়পুরে ফসলি জমির টপসয়েল মাটিকাটার অভিযোগ, ইউএনওর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ

মাগুরা সদর উপজেলার  হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুরিয়া বিল মাঠে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি এবং মাছের  ঘের করার উদ্দেশ্যে মাটি কাটার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। রফিকুল নামে এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার ১১ জুন দুপুর ২.৪৪ টার সময়ে স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর টলি গাড়ি দিয়ে ধানের ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় ভরাট করছেন।
স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর ড্রাইভারদের কাছে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন জমির মালিক রফিকুল মাটি কেটে স্থানান্তর করছে। রফিকুল ফোন দিতে বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানজারি নামের এক ছেলে সাংবাদিকদের বলেন আমাদের জমির মাটি আমরা কাটছি এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন, কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে বারবার বলেন, নিজের জমির মাটি কাটবো তার আবার অনুমোদন। আমাদের মাটি কাটার অনুমোদন পত্র নেওয়া আছে আপনারা যা পারেন তাই করেন এবং পত্রিকাকে অবজ্ঞা মূলক কথা বলে।
খানজারি নামের ছেলেটিকে অনুমোদনপত্র আনার কথা বললে তিনি রফিকুলকে ফোন দেন, রফিকুল সরজমিনে এসে একই কথা বলে আমার জমির মাটি আমি কাটবো এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন নিতে হবে। নিজের জমির মাটি কাটার অনুমোদন নিতে হয় সেইটা আমার জানা নাই, রাগান্বিত ওই ছেলেকে ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদন পত্র দেখতে চাইলে ঐ ছেলে খানজারি এবং তার চাচা রফিকুল  বলেন আপনারা যান পরে অনুমোদন পত্র দেখাবো। তিনি আরও বলেন, এই জমি নিয়ে বিরোধীয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে এজন্য চারপাশে উচু করে দিচ্ছি এবং অতিরিক্ত মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি।
অতঃপর  মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের কাছে হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর মাঠের ভাতুড়িয়া মাঠের  ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি কোন ফসলী জমি টপসয়েল মাটি কাটার জন্য কোন আবেদন পাইনি এবং মাটি কাটার জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আপনারা ওখানে থাকেন আমার প্রতিনিধি যাচ্ছে আর ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধ থাকবে। কিছু সময় পর হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে নায়েবের প্রতিনিধি এসে হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল মাটি কাটা বন্ধ করে দেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

মাগুরার হৃদয়পুরে ফসলি জমির টপসয়েল মাটিকাটার অভিযোগ, ইউএনওর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ

আপডেট টাইম : ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
মো: রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
মাগুরা সদর উপজেলার  হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুরিয়া বিল মাঠে ফসলি জমির টপসয়েল কেটে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি এবং মাছের  ঘের করার উদ্দেশ্যে মাটি কাটার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। রফিকুল নামে এক ব্যক্তি গত মঙ্গলবার ১১ জুন দুপুর ২.৪৪ টার সময়ে স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর টলি গাড়ি দিয়ে ধানের ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন জায়গায় ভরাট করছেন।
স্কেভেটর এবং ট্রাক্টর ড্রাইভারদের কাছে ফসলি জমির মাটি কাটার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তারা বলেন জমির মালিক রফিকুল মাটি কেটে স্থানান্তর করছে। রফিকুল ফোন দিতে বললে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খানজারি নামের এক ছেলে সাংবাদিকদের বলেন আমাদের জমির মাটি আমরা কাটছি এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন, কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে বারবার বলেন, নিজের জমির মাটি কাটবো তার আবার অনুমোদন। আমাদের মাটি কাটার অনুমোদন পত্র নেওয়া আছে আপনারা যা পারেন তাই করেন এবং পত্রিকাকে অবজ্ঞা মূলক কথা বলে।
খানজারি নামের ছেলেটিকে অনুমোদনপত্র আনার কথা বললে তিনি রফিকুলকে ফোন দেন, রফিকুল সরজমিনে এসে একই কথা বলে আমার জমির মাটি আমি কাটবো এর জন্য আবার কিসের অনুমোদন নিতে হবে। নিজের জমির মাটি কাটার অনুমোদন নিতে হয় সেইটা আমার জানা নাই, রাগান্বিত ওই ছেলেকে ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদন পত্র দেখতে চাইলে ঐ ছেলে খানজারি এবং তার চাচা রফিকুল  বলেন আপনারা যান পরে অনুমোদন পত্র দেখাবো। তিনি আরও বলেন, এই জমি নিয়ে বিরোধীয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলতেছে এজন্য চারপাশে উচু করে দিচ্ছি এবং অতিরিক্ত মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে বাইরে নিয়ে যাচ্ছি।
অতঃপর  মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের কাছে হাজিপুর ইউনিয়নের হৃদয়পুর মাঠের ভাতুড়িয়া মাঠের  ফসলি জমির টপসয়েল কাটার অনুমোদনের কথা জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি কোন ফসলী জমি টপসয়েল মাটি কাটার জন্য কোন আবেদন পাইনি এবং মাটি কাটার জন্য কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন আপনারা ওখানে থাকেন আমার প্রতিনিধি যাচ্ছে আর ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধ থাকবে। কিছু সময় পর হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে নায়েবের প্রতিনিধি এসে হৃদয়পুর গ্রামের ভাতুড়িয়া মাঠের ফসলি জমির টপসয়েল মাটি কাটা বন্ধ করে দেন।

প্রিন্ট