ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় আটক-১, এখনো গ্রেফতার হয়নি পাভেল

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (১১ জুন) আরো এক মাদক কারবারি  আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৪৬)। সে জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী গ্রামের মৃত কাশেম আলির পুত্র এবং ভূরুঙ্গামারী সদরের গার্লস স্কুল মোড়ে অবস্থিত মদিনা কসমেটিকস এর স্বত্বাধিকারী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ জুন)  গার্লস স্কুল সংলগ্ন ব্যবসায়ী এমদাদুল হক পাবেলের বাসা থেকে পুলিশ দুই দফা অভিযান চালিয়ে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে ঐদিন রাতেই পুলিশ এমদাদুল হক পাবেল ও শফিকুল সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। অবশ্য মাদকদ্রব্য আটকের পর থেকে এমদাদুল হক পাভেলের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছিল আটককৃত শফিকুল ঐ বাসায় ভাড়া থাকতো।
অনুসন্ধানে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়মনিরহাটের ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিংঝাড় গ্রামের দু’ব্যক্তি, জয়মনির হাটের রেললাইনে বসবাসকারী এক ব্যক্তি এবং গছিডাঙ্গার এক ট্রলি ড্রাইভার এবং যাত্রাপুরের এক নৌকা মাঝির সমন্বয়ে গঠিত চোরাকারবারি দলটি দীর্ঘদিন  থেকে ভারত থেকে মাদক দ্রব্য এনে স্থল ও নৌপথে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করতো।
সংঘবদ্ধ মাদক চোরাকারবারি দলটি দীর্ঘদিন থেকে  বিশেষ কায়দায় ডিমের খাঁচায় এবং রাইস কুকারের প্যাকেটে এসব মাদক পাচার করে আসছে। স্থলপথে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদক পাঠানো হতো। সেখানে প্রাপকের ঠিকানায় এদের ব্যবহৃত দুটি গোপন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হতো এবং মাল পৌঁছলে তারা ঐ নম্বর দেখিয়ে মালামাল উত্তোলন করে নিদৃষ্ট পার্টির কাছে বিক্রি করতো।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে জবান বন্দী প্রদানের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পাভেলকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলে প্রকৃত রহস্য বের করা সম্ভব হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

error: Content is protected !!

ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় আটক-১, এখনো গ্রেফতার হয়নি পাভেল

আপডেট টাইম : ১০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার (১১ জুন) আরো এক মাদক কারবারি  আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃত ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৪৬)। সে জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ছোটখাটামারী গ্রামের মৃত কাশেম আলির পুত্র এবং ভূরুঙ্গামারী সদরের গার্লস স্কুল মোড়ে অবস্থিত মদিনা কসমেটিকস এর স্বত্বাধিকারী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ জুন)  গার্লস স্কুল সংলগ্ন ব্যবসায়ী এমদাদুল হক পাবেলের বাসা থেকে পুলিশ দুই দফা অভিযান চালিয়ে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে ঐদিন রাতেই পুলিশ এমদাদুল হক পাবেল ও শফিকুল সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। অবশ্য মাদকদ্রব্য আটকের পর থেকে এমদাদুল হক পাভেলের পরিবার থেকে দাবি করা হচ্ছিল আটককৃত শফিকুল ঐ বাসায় ভাড়া থাকতো।
অনুসন্ধানে ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়মনিরহাটের ভারতীয় সীমান্তবর্তী শিংঝাড় গ্রামের দু’ব্যক্তি, জয়মনির হাটের রেললাইনে বসবাসকারী এক ব্যক্তি এবং গছিডাঙ্গার এক ট্রলি ড্রাইভার এবং যাত্রাপুরের এক নৌকা মাঝির সমন্বয়ে গঠিত চোরাকারবারি দলটি দীর্ঘদিন  থেকে ভারত থেকে মাদক দ্রব্য এনে স্থল ও নৌপথে দেশের অভ্যন্তরে পাচার করতো।
সংঘবদ্ধ মাদক চোরাকারবারি দলটি দীর্ঘদিন থেকে  বিশেষ কায়দায় ডিমের খাঁচায় এবং রাইস কুকারের প্যাকেটে এসব মাদক পাচার করে আসছে। স্থলপথে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদক পাঠানো হতো। সেখানে প্রাপকের ঠিকানায় এদের ব্যবহৃত দুটি গোপন মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হতো এবং মাল পৌঁছলে তারা ঐ নম্বর দেখিয়ে মালামাল উত্তোলন করে নিদৃষ্ট পার্টির কাছে বিক্রি করতো।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, আটককৃত ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে জবান বন্দী প্রদানের জন্য কুড়িগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। পাভেলকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলে প্রকৃত রহস্য বের করা সম্ভব হবে।

প্রিন্ট