ফরিদপুররে বোয়ালমারীতে ডিবি পুলিশের এক কন্সটেবলকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল ও রনি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
রোববার (৯জুন) বিকেলে পৌরসভার নাটমন্দির সড়কের ফলপট্রিতে এ ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে বাকি ১৫-২০ জনকে আসামী করে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২০।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে জেলা ডিবি পুলিশ সিআর মামলা তদন্ত করতে একটি টিম বোয়ালমারীতে আসে। এ সময় বিকেলে পৌরসভার নাট মন্দিররের পাশে ফলপট্রিতে ডিবির মাইক্রোবাসটি ঘোরানোর জন্য সহযোগিতা করতে কন্সটেবল মির্জা গোলাম গাউচ গাড়ির পেছনে যান। তখন অপর দিক থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল মোটরসাইকেল যোগে ওই মাইক্রোবাসের পেছনে এসে দাঁড়ায়। ডিবির গাড়ি ঘোরানোয় কালক্ষেপণ হলে ছাত্রলীগ সভাপতি তমাল সহ তার সহযোগীরা ডিবি পুলিশদের গালিগালাজ করতে থাকে। ডিবি পুলিশের কন্সটেবল গাউচ পরিচয় দিয়ে গালাগালি করতে নিষেধ করে।
পরে ছাত্রলীগের সভাপতি তমাল ও রনি বিশ্বাস রাগান্বিত হয়ে ওই ডিবির কন্সটেবলকে বেধরক মারপিট করে। পরে গাড়িতে থাকা অন্যান্য ডিবি পুলিশ নেমে তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল ও তার সহযোগী রনি বিশ্বাসকে আটক করে স্থানীয় থানায় নিয়ে আসে। পরে গভীর রাতে তাদের দু জনকে ডিবি পুলিশ ফরিদপুর তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ডিবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে তারা তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, পুলিশের উপর আক্রমন ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। দু’জন আসামীকে ঘটনা স্থল থেকে আটক করা হয়েছে। আটক কৃতদের সোমবার (১০জুন) বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রিন্ট