রাজবাড়ী জেলার পাংশায় গত শনিবার ২৯মে সন্ধ্যায় ১২২তম নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তকলম সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
হোগলাডাঙ্গী এমআই কামিল মডেল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মীর মো. আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ডক্টর কাজী মোতাহার হোসেন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র বসু বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, কবি নজরুল ছিলেন সাম্যের কবি, মানবতার কবি সর্বোপরি অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। তিনিই সর্বপ্রথম বাংলায় গজল রচনা করে মুসলিম সমাজে ধর্মীয় চেতনাকে সমৃদ্ধ করেন।
১৯২৬ ও ১৯৩৩ সালে পাংশায় আগমন করে কবি নজরুল তার স্মৃতি রেখে গেছেন। পাংশার তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী রহমত আলী বিশ্বাসের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে ঘরোয়া পরিবেশে অনুষ্ঠিত এক সভায় কবি নজরুল তার বিদ্রোহী কবিতা আবৃত্তি করে সকলকে মুগ্ধ করেন। বর্তমান সমাজে বৈষম্য ও সংকীর্ণতা দূরীকরণে নজরুলের চেতনার জাগরণ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে লেখক কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহবান জানান অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র বসু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ এস.এম কায়কোবাদ ও পাংশা মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক খালেদ জগলুল পাশা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের উপর তথ্যবহুল আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে কাজী নজরুলকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন এবাদত আলী শেখ, মোল্লা মাজেদ, আবুল হাশেম, সরদার আবু জালাল ও সুমী খোন্দকার।
অনুষ্ঠানে পাংশা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সহিদুর রহমান, এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. লোকমান হোসেন, পাংশা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. রকিবুল ইসলাম শামীম, পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী দেব প্রসাদ গোস্বামী, সন্ধ্যা রানী কুন্ডু, উত্তম মিত্র, মো. নাসির উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর হোসেনসহ স্থানীয় লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থাপনা করেন মুক্তকলম সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. মোক্তার হোসেন।
পাংশায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ১২২তম নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র বসু বক্তব্য রাখেন।
প্রিন্ট