রাজশাহীর তানোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোল্লাপাড়া বাজার ও হালদারপাড়া মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের ভয়াবহ উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন যাবত বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মহল্লাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
“নিজ বাড়ি থেকে হেঁটে উপজেলা হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। স্বর্ণকার নান্টুর বাড়ির সামনে পৌঁছা মাত্রই পাঁচটি কুকুর আমার পথ রোধ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করি। এরই মধ্যে একটি কুকুর তেড়ে এসে পায়ে কামড় দেয়ার চেষ্টা করে। এভাবে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রপের বর্ণনা দেন হাসপাতালের কর্মচারী শিউলি রাণী।
জানা গেছে, পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ৫ নম্বর ওযার্ডের হালদার পাড়া মহল্লায় কুকুরের উপদ্রবের মাত্রা ভয়াবহ। গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫টি গরু-ছাগল (গবাদিপশু) কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধক ভ্যাকসিন না থাকায় বিপাকে পড়ছেন গবাদিপশু মালিকেরা।এছাড়াও ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেরই ভ্যাকসিন কেনার সামর্থ্য নেই। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নেই। এক সময় উপজেলা পরিষদ থেকে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হতো। এখন দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নেই। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে বিনা মূল্যে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। এক সময় উপজেলা পরিষদ থেকে ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করার জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো। বর্তমানে ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
এবিষয়ে তানোর পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, এবিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার নবনির্বাচিত ভাইস-চেয়ারম্যান তানভির রেজা বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দিয়ে দেখভাল করা হবে ইনশাল্লাহ।
প্রিন্ট