ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রেমালের তাণ্ডবে ভেড়ামারায় ৬৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ হতে বিচ্ছিন্ন

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। তারের ওপর ভেঙে পড়েছে গাছপালা। এতে উপজেলার ৬৭ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গত দুই দিন। গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচাঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমিরও।

 

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে ভেড়ামারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে রোববার দিবাগত রাত থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস শুরু হয়। বৃষ্টি কমলেও আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে এলাকায় বাতাস অব্যাহত ছিলো।

 

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রেমালের তাণ্ডবে ভেড়ামারার মোকারিমপুর, জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর, ধরমপুর, চাদগ্রাম, ও বাহিরচর ইউনিয়নের প্রায় সকল অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটিও ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্কে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় ৬৭ হাজারেরও বেশি পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। লোকবল সংকট থাকায় এতোগুলো গাছ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা মোকারিমপুর, চাদগ্রাম ও ধরমপুর ইউনিয়নের বেশ কিচ্ছু স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

 

ক্ষেমিরদিয়াড় এলাকার বাসিন্দা লাল মোল্লা বলেন, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। জিকে ৩নং ১নং পুলের কাছে বৈদ্যুতিক তারের ওপর বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে। এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো লোক এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।

 

জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস আলী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারো মোবাইলে চার্জ নেই। যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর নিতে পারছি না।

 

 

কুষ্টিযা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভেড়ামারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ। যার কারণে এখনো পযন্ত পূণাঙ্গ তথ্য আমরা হাতে পাইনি। যে তথ্য পেয়েছি, তাতে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির ওপরে গাছ পড়ে রয়েছে। লোকবল সংকট হওয়ার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গাছ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুত লাইন ঠিক করে সংযোগ দেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

রেমালের তাণ্ডবে ভেড়ামারায় ৬৭ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ হতে বিচ্ছিন্ন

আপডেট টাইম : ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার :

ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। তারের ওপর ভেঙে পড়েছে গাছপালা। এতে উপজেলার ৬৭ হাজারেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গত দুই দিন। গাছপালা ভেঙে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও কিছু কাঁচাঘরের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমিরও।

 

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে ভেড়ামারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

 

পল্লী বিদ্যুৎ সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে রোববার দিবাগত রাত থেকে ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস শুরু হয়। বৃষ্টি কমলেও আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে এলাকায় বাতাস অব্যাহত ছিলো।

 

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রেমালের তাণ্ডবে ভেড়ামারার মোকারিমপুর, জুনিয়াদহ, বাহাদুরপুর, ধরমপুর, চাদগ্রাম, ও বাহিরচর ইউনিয়নের প্রায় সকল অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপরে প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ গাছ ভেঙে পড়েছে। এতে ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটিও ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও মোবাইল নেটওয়ার্কে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ তথ্য এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ভেড়ামারা উপজেলার প্রায় ৬৭ হাজারেরও বেশি পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। লোকবল সংকট থাকায় এতোগুলো গাছ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা মোকারিমপুর, চাদগ্রাম ও ধরমপুর ইউনিয়নের বেশ কিচ্ছু স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে।

 

ক্ষেমিরদিয়াড় এলাকার বাসিন্দা লাল মোল্লা বলেন, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। জিকে ৩নং ১নং পুলের কাছে বৈদ্যুতিক তারের ওপর বেশ কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে রয়েছে। এখনো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোনো লোক এসে গাছগুলো সরিয়ে দেয়নি।

 

জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা ফেরদৌস আলী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে আছে। এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে আমাদের কারো মোবাইলে চার্জ নেই। যার কারণে দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর নিতে পারছি না।

 

 

কুষ্টিযা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভেড়ামারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকাল থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ। যার কারণে এখনো পযন্ত পূণাঙ্গ তথ্য আমরা হাতে পাইনি। যে তথ্য পেয়েছি, তাতে বৈদ্যুতিক তার ও খুঁটির ওপরে গাছ পড়ে রয়েছে। লোকবল সংকট হওয়ার কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব গাছ সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশা করছি দ্রুত লাইন ঠিক করে সংযোগ দেওয়া হবে।


প্রিন্ট