কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাল্যবিবাহের অপরাধে বরের দুলাভাইকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতির অপরাধে বরের অভিভাবক বাগুলাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (২৪ মে) উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়েরবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত এই অভিযান পরিচালনা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ঝিনাইদহ জেলার শোলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আজমল হোসেন (৩৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়েরবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের আত্মীয়-স্বজনরা বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে বরের অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে বর ও কনেকে সেখানে হাজির করা হয়।
সহকারী কমিশনার আমিরুল আরাফাত বলেন, ‘বর শাকিলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বর পক্ষ কনের বাড়িতে বেলা ৩টায় উপস্থিত হন। কনের বয়স ১৮ বছর এবং বরের বয়স ১৭ বছর। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বরের বড় দুলাভাইকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পরে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রিন্ট