ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নামে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা চুন্নু শেখসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা  করার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলার কান্দাকুল গ্রামে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, কান্দাকুল গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জিহাদ, চুন্নু শেখ, আব্দুস সালাম ও কালাম মোল্যা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কান্দাকুল গ্রামের মৃত খালেক মোল্যার ছেলে ফরিদ মোল্যা একই গ্রামের ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে।
 বক্তারা আরও জানান সম্প্রতি ১২ মে সকালে কান্দাকুল গ্রামে ঘাস কাটার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিনা বেগম ও ফরিদা বেগমের মারামারি হয়। সে মারামারি রাতে গ্রাম্য শালিসে ঘরোয়াভাবে মিটমাট করে দেয় মো. শহিদুল ও চুন্নু শেখ।
 তবে ওই রাতে আকতার মেম্বারের দোকান ঘরের সামনে থেকে কে বা কাহারা ফরিদ মোল্যাকে ধাওয়া দিয়েছে তা কেউ জানেনা। ধাওয়া খেয়ে রাস্তার পাশে একটি কচু ক্ষেতে পড়ে গিয়ে ফরিদ মোল্যার  হাত পা ও মুখমণ্ডল ক্ষত হয়ে যায়। পরে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘুরিয়ে ফরিদ মোল্যা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করেছে মর্মে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ শহিদুল ইসলাম ও চুন্নু শেখকে পুলিশ আটকও করেন। পরে আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁরা। এই মিথ্যা মামলার  তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা তুলে নেয়ার আহবান জানান বক্তারা।
এ বিষয়ে ফরিদ মুঠোফোনে বলেন, ওই দিন ১২ মে রাতে আমাকে আকতার মেম্বরের দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দেয় চুন্নুর লোকজন। পরে তাদের লোকজন ধাওয়া দিলে কচু ক্ষেতে পড়ে ক্ষত হয়েছি। তবে তাদের লোকজন আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দিয়েছিল। এজন্য আমি থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছি।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নামে মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগ নেতা চুন্নু শেখসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন মামলা  করার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪মে) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপজেলার কান্দাকুল গ্রামে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলার ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম, কান্দাকুল গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. জিহাদ, চুন্নু শেখ, আব্দুস সালাম ও কালাম মোল্যা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কান্দাকুল গ্রামের মৃত খালেক মোল্যার ছেলে ফরিদ মোল্যা একই গ্রামের ময়না ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে।
 বক্তারা আরও জানান সম্প্রতি ১২ মে সকালে কান্দাকুল গ্রামে ঘাস কাটার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিনা বেগম ও ফরিদা বেগমের মারামারি হয়। সে মারামারি রাতে গ্রাম্য শালিসে ঘরোয়াভাবে মিটমাট করে দেয় মো. শহিদুল ও চুন্নু শেখ।
 তবে ওই রাতে আকতার মেম্বারের দোকান ঘরের সামনে থেকে কে বা কাহারা ফরিদ মোল্যাকে ধাওয়া দিয়েছে তা কেউ জানেনা। ধাওয়া খেয়ে রাস্তার পাশে একটি কচু ক্ষেতে পড়ে গিয়ে ফরিদ মোল্যার  হাত পা ও মুখমণ্ডল ক্ষত হয়ে যায়। পরে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘুরিয়ে ফরিদ মোল্যা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারপিট করেছে মর্মে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ শহিদুল ইসলাম ও চুন্নু শেখকে পুলিশ আটকও করেন। পরে আদালতে জামিনে মুক্তি পেয়েছে তাঁরা। এই মিথ্যা মামলার  তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা তুলে নেয়ার আহবান জানান বক্তারা।
এ বিষয়ে ফরিদ মুঠোফোনে বলেন, ওই দিন ১২ মে রাতে আমাকে আকতার মেম্বরের দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে উঠিয়ে দেয় চুন্নুর লোকজন। পরে তাদের লোকজন ধাওয়া দিলে কচু ক্ষেতে পড়ে ক্ষত হয়েছি। তবে তাদের লোকজন আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দিয়েছিল। এজন্য আমি থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছি।