বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের পার্কের বাগানে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে এক ছাগলের দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন ছাগল মালিকের অনুপস্থিতে এই জরিমানা করেছেন বলে ছাগল মালিক সাহারা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
জরিমানার টাকা দিতে না পারায় নয় দিন আটকে রাখার পর মালিককে না জানিয়ে ওই ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ছাগল মালিক সাহারা বেগম দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ছাগল ফেরত পাওয়া আশায়।
সাহারা বেগম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৭ মে তাঁর ছাগলটি হারিয়ে যায়। অনেক জায়গায় তিনি ছাগলটির সন্ধান করেন। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে জানায়, ছাগলটি আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তার এক নিরাপত্তা কর্মীর নিকট রয়েছে।
তিনি ইউএনও’র বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে ছাগলকে ঘাস খাওয়াতে দেখেন। এ সময় সাহারা বেগম ছাগল নিতে চাইলে তাকে ছাগল দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ওই নিরাপত্তাকর্মী।
নিরুপায় হয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গেলে তাকে নির্বাহী অফিসার বলেন, ফুলগাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা দিয়ে ছাগল নিয়ে যান।
তিনি আরোও জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসার গৃহকর্মী তাঁকে জানায়, ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। জরিমানার দুই হাজার টাকা বাদ দিয়ে বাঁকি তিন হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য বলে ওই গৃহকর্মি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন জানান, ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে গন উপদ্রুপ আইনে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনার সময় মালিক উপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ছাগল বিক্রি করা হয়নি একজনের জিম্মায় রাখা হয়েছে। মানবিক কারণে নয়দিন ধরে ছাগলকে খাওয়াতে হচ্ছে। একাধিকবার ওই মহিলার ছাগল বাগানের ফুল গাছ খেয়েছে।
প্রিন্ট