দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন রামকৃষ্ণপুর ৪০ পাড়া গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমজাদ মাস্তান মারামারি মামলায় দৌলতপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। ১৯ মে সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চল্লিশ পাড়া গ্রাম থেকে এসআই শামীম ও এএসআই আশরাফ সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে।
দৌলতপুর থানাযর এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় আমজাদ মাস্তান ও আশরাফুল ও শফি মন্ডল এর হুকুমে সন্ত্রাসী হামলায় চরুইকুড়ি গ্রামের রিয়াজুল মন্ডলের ছেলে রাজা আলীকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
ভাগ্নে রাজার উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা দেখে মামা চরপাড়া গ্রামের মৃত মজি মন্ডলের ছেলে আকাল মন্ডল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সন্ত্রাসী হামলায় আহত রাজা আলী জানান, আমার মামা আকাল মণ্ডল অসুস্থ থাকায় তাকে দেখতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ৪০ পাড়া গ্রামে যায়।
৪০ পড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী আমজাদ মন্ডল, শফি মন্ডল, আশরাফুল মন্ডল এর নেতৃত্বে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থেকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী ৪০ পাড়া গ্রামের মিঠুন, হাপি, রানা, লিটন, শফিকুল সহ অজ্ঞাত পাঁচ সাত জন ব্যক্তি আমার উপর হামলা চালায়। নৃশংস এই হামলা দেখে আমার মামা আকাল মণ্ডল ধঘটনাস্থলে মারা যান।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই শামীম বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা রাজার পিতা ইয়াজুল বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করেন। তদন্ত সাপেক্ষে মামলা রেকর্ড হয়েছে যার নং – ৩৬/২১৪। এজাহার নামীয় ১ নং আসামী আমজাদ মাস্তান কে আটক করা হয়েছে । বাকিদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।
- আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, অপরাধী যত ক্ষমতাধর ব্যক্তিই হোক না কেন আইনের রুদ্ধে নয়। অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দৌলতপুর থানার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
প্রিন্ট