আধিপত্য বিস্তারলে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উধুলী গ্রামে গ্রাম্য দু-দলের সংঘর্ষে ৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কমপক্ষে ২০টি বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৭মে) সকাল ৭ টা ও দুপুর ১২ টার দিকে দু দফায় উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের উধুলী গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বড়খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর মিয়ার সাথে একই গ্রামের গ্রাম্য মাতুব্বর রফিক মোল্যার এলাকার আধিপাত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষও হয়েছে। এতে নি:শ্ব হয়েছে গ্রামের একাধিক নিরহ পরিবার বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে অনেকেই। তারপও থেমে নেই তাদের আধিপাত্যের লড়াই।
সেই আধিপাত্যের লড়ায়ের সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে রফিক মোল্যার সমর্থক উধুলী গ্রামের বাসিন্দা মান্নান মোল্যা ও আলমগীর মাতুব্বরের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর মিয়ার সমর্থক একই গ্রামের কোরবান মোল্যা গংদের সাথে দুই দলের দুই মহিলার কাটাকাটি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে আলমগীর মিয়ার সমর্থকরা রফিক মোল্যার সমর্থক আলমগীর মাতুব্বর ও মান্নান মোল্যার বাড়িঘর ঘিরে ফেলে ও হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়। এ খবর দুই দলের মধ্যে ছড়িয়ে গেলে তাৎক্ষনিক দুই দলই ঢাল, সর্কি, রানদা, ছেনদা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুদলই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পুলিশ চলে আসার পর দুপুর ১২ টা দিকে আবার রফিক মোল্যার সমর্থকরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আলমগীর মিয়ার সমর্থদের ৩ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ কমপক্ষে ২০ টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাসুম মোল্যা (১৬) নামের এক ব্যক্তি ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আসিকুজ্জামান বলেন, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রিন্ট