ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

উপজেলা চেয়ারম্যান বেলালের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তৃণমুলের ভাষ্য, যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হবার পর চতুরমুখী চাপে তার সেই স্বপ্ন উবে গেছে, তার চেহারায় এক ধরনের হাতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান বেলালের সামনে মোটা দাগে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথত বিশ্বাস এমপি ফারুক চৌধুরীর সৃষ্টি বেলাল উদ্দিন সোহেল।কিন্ত্ত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফারুক চৌধুরীকে ভুলে অন্য ডালে ভর করেছেন।কিন্ত্ত তিনি যে ডালে ভর করেছেন সেই গাছের কোনো অস্থিত্ব নাই ফারুক চৌধুরীর কাছে। আবার অনেকে বলছে, যিনি নিজের স্বার্থের জন্য তার স্রষ্টাকে ভুলে যেতে পারেন। স্বার্থের কারণে তিনি যে আবারো তার স্রষ্টার কাছে ফিরবেন না তার নিশ্চয়তা কি ? ফলে তিনি যে ডালে বাসা বাঁধার স্বপ্নে বিভর সেই গাছও তাকে বিশ্বাস করতে পারছে না ?  ফলে  তিনি উভয় সংকটে না পারছেন সেই ডালে বাঁসা বাঁধতে, না পারছেন এমপির কাছে ফিরে আসতে বলে মনে করছেন তৃণমুল।
দ্বিতীয়ত এমপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, স্থানীয় রাজনীতি ও উন্নয়ন ইত্যাদি এমপিদের নিয়ন্ত্রণে। এখন প্রশ্ন হলো এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি রাজনীতিতে টিকে থাকতে ও উন্নয়নে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারবেন ?
তৃতীয়ত নেতৃত্ব, বেলাল উদ্দিন সোহেল উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক। এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি নেতৃত্ব কিভাবে ধরে রাখবেন বা রাখতে পারবেন কি না সেটা এখন দেখার বিষয় ?
চতুর্থত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বা উন্নয়ন, এমপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন বা নির্বাচনী প্রতিশ্রতির কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন সেটা এখন দেখার অপেক্ষা ? একটি অসমর্থিত সুত্র জানায়, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক বিরোধের সুত্রপাত হয়েছে বলে অফিস পাড়ায় গুঞ্জন বইছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এমপি ফারুক চৌধুরীর দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার দু’একটি কাজ নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা থাকতেই পারে। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি ফারুক চৌধুরীর অবদান, রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, আদর্শিকতাও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার বা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অপ্রতিদন্দী ও হেভিওয়েট নেতৃত্ব এমপি ফারুক চৌধুরীকে ঠেকাতে  রাজনৈতিক অঙ্গনে সেভন স্টার, শতবর্ষী ইত্যাদি নামে একাধিক জোট সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্ত্ত ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা জনপ্রিয়তার কাছে ধরাশয়ী হয়ে হারিয়ে গেছে। পাশাপাশি  অনেক রথী-মহারথী এমপি ফারুকের বিরোধীতা করে দেউলিয়া হয়ে রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে। এমনকি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের (তৎকালীন) সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন কেন্দ্রীয় নেতার সঙে জোটবেঁধে এবং গোদাগাড়ীর সভাপতি-সম্পাদককে নিয়ে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করে রাজনীতির মাঠ থেকেই হারিয়ে গেছে। এসব বিবেচনায় বেলাল উদ্দিন সোহেলের মতো নবীন নেতৃত্ব বা চারা গাছ, এমপি ফারুক চৌধুরীর মতো প্রবীণ নেতৃত্ব বট গাছের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে কতদুর এগুতো পারে সেটা নিয়ে আমজনতা উদ্দিগ্ন। অন্যদিকে বিশেষ কারণে সাধারণ ভোটারগণ মোহের বসে ভোট দিয়ে এখন এসব চিন্তা-ভাবনা করে হতাশ বলেও সাধারণ মানুষের আলোচনা রয়েছে। আবার অনেকে বলছে,এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে এলাকা যদি উন্নয়ন বঞ্চিত হয়,তবে সেই দায় বেলাল উদ্দিন সোহেলকেই নিতে হবে।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও গোদাগাড়ী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। রাজশাহী জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের  নেতা মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, কোথায় এমপি মহোদয় আর কোথায় বেলাল উদ্দিন সোহেল । তিনি বলেন, এমপি মহোদয় সুমুদ্রের তিমি আর বেলার কুঁয়োর ব্যাঙ এই তুলনায় চলে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

উপজেলা চেয়ারম্যান বেলালের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

আপডেট টাইম : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তৃণমুলের ভাষ্য, যে স্বপ্ন নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত হবার পর চতুরমুখী চাপে তার সেই স্বপ্ন উবে গেছে, তার চেহারায় এক ধরনের হাতাশার চিত্র ফুটে উঠেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, উপজেলা চেয়ারম্যান বেলালের সামনে মোটা দাগে চারটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথত বিশ্বাস এমপি ফারুক চৌধুরীর সৃষ্টি বেলাল উদ্দিন সোহেল।কিন্ত্ত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফারুক চৌধুরীকে ভুলে অন্য ডালে ভর করেছেন।কিন্ত্ত তিনি যে ডালে ভর করেছেন সেই গাছের কোনো অস্থিত্ব নাই ফারুক চৌধুরীর কাছে। আবার অনেকে বলছে, যিনি নিজের স্বার্থের জন্য তার স্রষ্টাকে ভুলে যেতে পারেন। স্বার্থের কারণে তিনি যে আবারো তার স্রষ্টার কাছে ফিরবেন না তার নিশ্চয়তা কি ? ফলে তিনি যে ডালে বাসা বাঁধার স্বপ্নে বিভর সেই গাছও তাকে বিশ্বাস করতে পারছে না ?  ফলে  তিনি উভয় সংকটে না পারছেন সেই ডালে বাঁসা বাঁধতে, না পারছেন এমপির কাছে ফিরে আসতে বলে মনে করছেন তৃণমুল।
দ্বিতীয়ত এমপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, স্থানীয় রাজনীতি ও উন্নয়ন ইত্যাদি এমপিদের নিয়ন্ত্রণে। এখন প্রশ্ন হলো এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি রাজনীতিতে টিকে থাকতে ও উন্নয়নে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারবেন ?
তৃতীয়ত নেতৃত্ব, বেলাল উদ্দিন সোহেল উপজেলা যুবলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক। এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি নেতৃত্ব কিভাবে ধরে রাখবেন বা রাখতে পারবেন কি না সেটা এখন দেখার বিষয় ?
চতুর্থত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন বা উন্নয়ন, এমপির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে তিনি এলাকার উন্নয়ন বা নির্বাচনী প্রতিশ্রতির কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন সেটা এখন দেখার অপেক্ষা ? একটি অসমর্থিত সুত্র জানায়, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক বিরোধের সুত্রপাত হয়েছে বলে অফিস পাড়ায় গুঞ্জন বইছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এমপি ফারুক চৌধুরীর দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার দু’একটি কাজ নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা থাকতেই পারে। কিন্ত্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি ফারুক চৌধুরীর অবদান, রাজনৈতিক দুরদর্শীতা, আদর্শিকতাও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার বা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অপ্রতিদন্দী ও হেভিওয়েট নেতৃত্ব এমপি ফারুক চৌধুরীকে ঠেকাতে  রাজনৈতিক অঙ্গনে সেভন স্টার, শতবর্ষী ইত্যাদি নামে একাধিক জোট সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্ত্ত ফারুক চৌধুরীর রাজনৈতিক দুরদর্শীতা জনপ্রিয়তার কাছে ধরাশয়ী হয়ে হারিয়ে গেছে। পাশাপাশি  অনেক রথী-মহারথী এমপি ফারুকের বিরোধীতা করে দেউলিয়া হয়ে রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে। এমনকি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের (তৎকালীন) সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন কেন্দ্রীয় নেতার সঙে জোটবেঁধে এবং গোদাগাড়ীর সভাপতি-সম্পাদককে নিয়ে এমপি ফারুক চৌধুরীর বিরোধীতা করে রাজনীতির মাঠ থেকেই হারিয়ে গেছে। এসব বিবেচনায় বেলাল উদ্দিন সোহেলের মতো নবীন নেতৃত্ব বা চারা গাছ, এমপি ফারুক চৌধুরীর মতো প্রবীণ নেতৃত্ব বট গাছের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে কতদুর এগুতো পারে সেটা নিয়ে আমজনতা উদ্দিগ্ন। অন্যদিকে বিশেষ কারণে সাধারণ ভোটারগণ মোহের বসে ভোট দিয়ে এখন এসব চিন্তা-ভাবনা করে হতাশ বলেও সাধারণ মানুষের আলোচনা রয়েছে। আবার অনেকে বলছে,এমপির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে এলাকা যদি উন্নয়ন বঞ্চিত হয়,তবে সেই দায় বেলাল উদ্দিন সোহেলকেই নিতে হবে।
এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও গোদাগাড়ী উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেলের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। রাজশাহী জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের  নেতা মিজানুর রহমান জুয়েল বলেন, কোথায় এমপি মহোদয় আর কোথায় বেলাল উদ্দিন সোহেল । তিনি বলেন, এমপি মহোদয় সুমুদ্রের তিমি আর বেলার কুঁয়োর ব্যাঙ এই তুলনায় চলে।