রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) নেজামপুর-হাতিনান্দা পর্যন্ত্য ৩০০মিটার রাস্তা নির্মাণের কার্পেটিংয়ে নিম্নমাণের বিটুমিন ও বেডে নিম্নমাণের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, রাস্তা নির্মাণকাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিযমের অভিযোগ এনে গ্রামবাসি নির্মাণকাজে বাধা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন। সম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ প্রয়াত হবার সুযোগে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী তার নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করেছেন।স্থানীয় ইউপি সদস্যকে(মেম্বার) অবগত ও তার উপস্থিতি কাজ করার কথা থাকলেও তাকে জানানোই হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, রাস্তার সাববেইজ করার সময় ইটের খোয়া ও বালু একইরকম ব্যবহার করার কথা থাকলেও এখানে চার ভাগের একভাগ খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কার্যসহকারি বলেন, এমনিতে বিটুমিনের মান খারাপ তার ওপর প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরের পরানপুর মাঠ থেকে ট্রলিতে করে পাথর নিয়ে আশায় টেম্পারেচারের মান নস্ট হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের সড়ক-মহাসড়ক উন্নত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিটুমিন ব্যবহার নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়। সেই প্রজ্ঞাপণে বিটুমিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ইআরএল-এর বিটুমিন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেটি পাওয়া না গেলে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কিন্ত নেজামপুর রাস্তায় সেই মাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়নি। এখানে আমদানি করা নিম্নমাণের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাব-ঠিকাদার সুরুজ আলী বলেন, স্থানীয়রা যে অভিযোগ করছেন তা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে।
তানোর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজের অনিয়মের ব্যাপারে আমার জানা নেই, কেউ কোনো অভিযোগও করেনি। তিনি বলেন, রাস্তা পরিদর্শনে অনিয়মের কোনো সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) বুলু বলেন, ঠিকাদারের বিল পরিশোধের আগে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সরেজমিন পরিদর্শনের দাবি জানান।
প্রিন্ট