ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোরে কৃষি ভুর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়ম

রাজশাহীর তানোরে কৃষি ভর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ একজনের নামে বরাদ্দকৃত গার্ডেন টেলার (মেশিন) অন্যজনকে দিয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, অফিস পাড়ায় বইছে মুখরোচক নানা গুঞ্জন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক সহিদুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়। ফলে সহিদুল ব্যাংক চালান দিয়েও মেশিন না পেয়ে চরম হতাশ হলেও কোথাও অভিযোগ করতে পারেননি। এদিকে স্থানীয় কৃষকেরা ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক সহিদুল বলেন, তাকে গার্ডেন টেলার দেয়ার জন্য ঈদুল ফিতরের আগে সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় ১১ হাজার ৭৩৪ টাকা চালান দিতে বলা হয়। তিনি সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় ১১ হাজার ৭৩৪ টাকা জমা দেন। কিন্তু চালান দেওয়ার পর রহস্যজনক কারনে তাকে গার্ডেন টেলার (মেশিন) দেয়া হয়নি। অফিসের কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে অন্য ব্যক্তিকে মেশিন দিয়েছেন। আমি অফিসে একাধিকবার বলেও তারা পাত্তাই দেয়নি। আমি অফিসের আলী রেজার মাধ্যমে চালান দিয়েছি এবং তার কাছেও জমা আছে।
স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ স্টেশনে থাকেন না। তিনি নিয়োমিত সরকারী গাড়ী নিয়ে শহর থেকে অফিস করেন এবং গাড়ীতে করে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান বলেও অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত ভাবে তার দপ্তরে এসি ব্যবহার করেন।
আলী রেজার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাব জানিয়ে দেন আমি কিছুই বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, আমি ওই সময় বাবা-মাকে নিয়ে ওমরা হজ্বে ছিলাম। যিনি গার্ডেন প্রজেক্ট করে তাকে দেয়ার নিয়ম। কিন্তু ভুলবশত একজনের নামে চালান হয়ে আরেকজনকে দেয়া হয়েছে। সহিদুলকে আগামীতে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, স্টেশনে থাকা না থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আর তিনি ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করেন না, যেদিন শহরে মিটিং থাকে সেদিন গাড়ী নিয়ে যাতায়াত করেন।
এ বিষয়ে জেলা উপ-পরিচালকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
প্রসঙ্গত, নীতিমালা অনুযায়ি যে উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, সেই উপজেলায় কৃষি বিভাগ গাড়ী পাবেন। কিন্ত্ত তানোর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

তানোরে কৃষি ভুর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়ম

আপডেট টাইম : ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
রাজশাহীর তানোরে কৃষি ভর্তুকির মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ একজনের নামে বরাদ্দকৃত গার্ডেন টেলার (মেশিন) অন্যজনকে দিয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, অফিস পাড়ায় বইছে মুখরোচক নানা গুঞ্জন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক সহিদুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাটি প্রকাশ করতে নিষেধ করা হয়। ফলে সহিদুল ব্যাংক চালান দিয়েও মেশিন না পেয়ে চরম হতাশ হলেও কোথাও অভিযোগ করতে পারেননি। এদিকে স্থানীয় কৃষকেরা ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক সহিদুল বলেন, তাকে গার্ডেন টেলার দেয়ার জন্য ঈদুল ফিতরের আগে সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় ১১ হাজার ৭৩৪ টাকা চালান দিতে বলা হয়। তিনি সোনালী ব্যাংক তানোর শাখায় ১১ হাজার ৭৩৪ টাকা জমা দেন। কিন্তু চালান দেওয়ার পর রহস্যজনক কারনে তাকে গার্ডেন টেলার (মেশিন) দেয়া হয়নি। অফিসের কর্মকর্তারা আর্থিক সুবিধা নিয়ে অন্য ব্যক্তিকে মেশিন দিয়েছেন। আমি অফিসে একাধিকবার বলেও তারা পাত্তাই দেয়নি। আমি অফিসের আলী রেজার মাধ্যমে চালান দিয়েছি এবং তার কাছেও জমা আছে।
স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ স্টেশনে থাকেন না। তিনি নিয়োমিত সরকারী গাড়ী নিয়ে শহর থেকে অফিস করেন এবং গাড়ীতে করে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান বলেও অহরহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এছাড়াও নিয়মবহির্ভূত ভাবে তার দপ্তরে এসি ব্যবহার করেন।
আলী রেজার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাব জানিয়ে দেন আমি কিছুই বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, আমি ওই সময় বাবা-মাকে নিয়ে ওমরা হজ্বে ছিলাম। যিনি গার্ডেন প্রজেক্ট করে তাকে দেয়ার নিয়ম। কিন্তু ভুলবশত একজনের নামে চালান হয়ে আরেকজনকে দেয়া হয়েছে। সহিদুলকে আগামীতে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, স্টেশনে থাকা না থাকার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আর তিনি ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহার করেন না, যেদিন শহরে মিটিং থাকে সেদিন গাড়ী নিয়ে যাতায়াত করেন।
এ বিষয়ে জেলা উপ-পরিচালকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
প্রসঙ্গত, নীতিমালা অনুযায়ি যে উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে, সেই উপজেলায় কৃষি বিভাগ গাড়ী পাবেন। কিন্ত্ত তানোর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।