রাজশাহীর তানোর-মোহনপুর সীমান্তের বুরুজ এলাকায় শিব নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বন বিভাগের রোপিত কয়েক হাজার গাছ নিধন করা হয়েছে। এতে বৃক্ষরাজিতে পরিপুর্ণ এলাকা এখন ধুধু মরুভুমিতে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। এভাবে নির্বিচারে পরিপক্ক-অপরিপক্ক গাছ কাটায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছেন স্থানীয় সুশিল সমাজ।
জানা গেছে, তানোর -মোহনপুরের সাীমান্ত সংলগ্ন বিলকুমারি বিলের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বুরুজ এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটারের গাছ কেটে ফাকা করে দেয়া হয়েছে। এসব এলাকা প্রচন্ড খরাপ্রবণ হওয়ায় পরিবেশবিদগণ বেশি বেশি গাছ রোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন। অথচ বন বিভাগ সেই নির্দেশনা অমান্য করে ছোট-বড় কয়েক হাজার গাছ কেটে মরু প্রান্তরে পরিনত করেছে।
জানা গেছে, গত এপ্রিল মাস থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। এ সময় ৪০ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত্ তাপমাত্রা বিরাজমান ছিল। তীব্র তাপদহের কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের অন্যতম কারন গাছ নিধন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। কিন্ত্ত এমন তাপপ্রবাহের মধ্যেই বাঁধের গাছ কেটে সাবাড় করেছে বন বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল, মাসুদ সৈকত ও সোহেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিকরা কাজ করে বাধের গাছের ছায়াতলে বসে শরীর জিড়িয়ে নিতেন। ছোট-বড় কয়েক হাজার গাছ নিধন করেছে। এখন বাধ মরু ভূমিতে পরিনত হয়েছে। গাছ কাটার পর বাধের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মোহনপুর বন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচির আওতায় গাছগুলো রোপণ করা হয়েছিল। রোপনের পর দশ বছর হলে গাছ কাটতেই হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে গাছ কাটা হয়েছে। কত কিলোমিটার বাধের কত হাজার গাছ কাটা হয়েছে এবং টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা কে ছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিভাগীয় অফিসে গিয়ে তথ্য নিতে হবে, আমার এ মুহূর্তে সরন নাই বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে বিভাগীয় বন অফিসের বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে চা খেতে আসেন সব তথ্য দেয়া হবে।
- আরও পড়ুনঃ বাঘায় মা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা
এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা বলেন, বন বিভাগের সামাজিক কর্মসূচি থেকে গাছ রোপন করা হয় এবং ওই গাছের দশ বছর বয়স হলে কাটার নিয়ম আছে বলে আমাকে অবহিত করেছে। আরো কিছু তথ্য নিতে হলে বিভাগীয় বন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন ইউএনও।
প্রিন্ট