ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাঘায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফজালের দাফন সম্পন্ন Logo লালপুরে অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যার প্রতিবাদ ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সদরপুরে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নাটোরে ছিনতাইকালে ৫ নারী ছিনতাইকারী আটক Logo আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আম বাগান ও কালাইখেত গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ Logo আলফাডাঙ্গা ব্রিক্স ফিল্ডে ইট পুড়ানোর শুভ সূচনা Logo আমতলীতে উপজেলা জামায়েত আমীরের শপথ গ্রহন Logo ইসকন নিষিদ্ধ ও সাইফুল হত্যার বিচারের দাবীতে সালথায় বিক্ষোভ মিছিল Logo রূপগঞ্জে অটোরিক্সা চালক বাবুল হত্যায় জড়িত ৫ জন গ্রেপ্তার, অটোরিক্সা উদ্ধার Logo ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে কালুখালীতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সদরপুরে ব্যুরো ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় চিন্তিত কৃষক

সদরপুরের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনায় মোড়ানো ব্যুরো ধানের শীষ। দিগন্ত ছোঁয়া ফসলের মাঠ যেন নয়ন জুড়ানো হলুদ আর সবুজের অপরূপ সমারোহ। কোথাও কোথাও পাকা ধান কাঁটা শুরু হয়েছে, বাকিটা এখনও শোভা বর্ধন করছে ক্ষেতে ।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন মিলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে ব্যুরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলায় ব্যুরো ধানের জন্য এবারের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল ১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমি। কৃষি অফিস আরও জানিয়েছে আবাদের শুরু থেকে ব্যুরো ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহযোগীতা দেয়া হয়েছে কৃষকদের।

 

“বৃষ্টি হইলে সমস্যা নাই। বাতাসি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হইলে আমাগো সমস্যা। পাকা ব্যুরো ধানের অনেক ক্ষতি অইব”। কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ১৭ রশি গ্রামের কৃষক আমিন সরদার। তার সাথে একমত পোষণ করেন মটুকচরের কৃষক হাসেম সরদার, আকটেরচর কৃষক আয়নালসহ অনেক কৃষক। এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও ইরি ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। বুধবার ৮ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ফুরফুরে মেজাজে আছে। সাম্প্রতিক দেশজুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় উপজেলার কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অর্থাৎ আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখি ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র রৌদের দাপদাহে ধানে চিটা পড়া এবং ন্যায্যমূল্য পাবে কি না এইসব নিয়ে। । প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

 

  • আরও পড়ুনঃ

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, ধান খেতে তাপদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। ৮০% ধান পেকে গেছে যতদ্রুত সম্ভব পাকা ধানগুলো কেটে গোলায় নিয়ে আসার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঘায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আফজালের দাফন সম্পন্ন

error: Content is protected !!

সদরপুরে ব্যুরো ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় চিন্তিত কৃষক

আপডেট টাইম : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
মোঃ নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :

সদরপুরের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনায় মোড়ানো ব্যুরো ধানের শীষ। দিগন্ত ছোঁয়া ফসলের মাঠ যেন নয়ন জুড়ানো হলুদ আর সবুজের অপরূপ সমারোহ। কোথাও কোথাও পাকা ধান কাঁটা শুরু হয়েছে, বাকিটা এখনও শোভা বর্ধন করছে ক্ষেতে ।

 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন মিলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে ব্যুরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। উপজেলায় ব্যুরো ধানের জন্য এবারের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল ১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমি। কৃষি অফিস আরও জানিয়েছে আবাদের শুরু থেকে ব্যুরো ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহযোগীতা দেয়া হয়েছে কৃষকদের।

 

“বৃষ্টি হইলে সমস্যা নাই। বাতাসি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হইলে আমাগো সমস্যা। পাকা ব্যুরো ধানের অনেক ক্ষতি অইব”। কথাগুলো বলছিলেন ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ১৭ রশি গ্রামের কৃষক আমিন সরদার। তার সাথে একমত পোষণ করেন মটুকচরের কৃষক হাসেম সরদার, আকটেরচর কৃষক আয়নালসহ অনেক কৃষক। এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও ইরি ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। বুধবার ৮ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ফুরফুরে মেজাজে আছে। সাম্প্রতিক দেশজুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় উপজেলার কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন অর্থাৎ আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখি ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র রৌদের দাপদাহে ধানে চিটা পড়া এবং ন্যায্যমূল্য পাবে কি না এইসব নিয়ে। । প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।

 

  • আরও পড়ুনঃ

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, ধান খেতে তাপদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। ৮০% ধান পেকে গেছে যতদ্রুত সম্ভব পাকা ধানগুলো কেটে গোলায় নিয়ে আসার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


প্রিন্ট