মাগুরায় আফজাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মে শনিবার বিকালে রাজাপুর রাজপাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শতশত স্থানীয় জনগণ ও মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
উক্ত মানববন্ধনে মৃতের পরিবারের সদস্যরা, আছিয়া বেগম, নুরুল্লাহ শেখ, ফারজানা খাতুন, ওসমান শেখ, মুরাদ শেখ বলেন, গত ৪ মে শনিবার আফজাল হোসেনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা মোহাম্মদপুর থানাতে এজাহার দিতে গেলে আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ২য় পক্ষের স্ত্রী-পুত্রের নির্যাতন ও মারধরের করে কৃষক আফজাল শেখকে (৬৫) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিত্যান্দপুর শহীদ মোল্লার স্ত্রী রিজিয়া খাতুন জানান, আমি শিল্পী বেগমের ঘরের পিছনে দিয়ে ৪ মে দুপুরে গরু নিয়ে আসার সময় অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পেয়ে ছিলাম,মনে হচ্ছিলো, মারামারি, ধস্তাধস্তির মত শব্দ। গত শনিবার ৪ মে বিকালে মাগুরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পথে নিত্যানন্দপুর গ্রামের মৃত ছায়েন উদ্দিন শেখের পুত্র মোঃ আফজাল শেখ মৃত্যু বরন করেন, ৫ মে ময়নাতদন্ত শেষে তাকে দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, মৃত কৃষক মোঃ আফজাল শেখের দুই পক্ষ নিয়ে সংসার। প্রথম পক্ষের পুত্র নুরুল্লাহ শেখের স্ত্রী ফারজানা (২৮) জানান, এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২ মে ২য় পক্ষের শাশুড়ী শিল্পী বেগম (৪৫) ও তার ছেলে নুর আলম (১৯) জবরদস্তি করে শিল্পীর দীর্ঘ দিনের পরকীয়া প্রেমিক রাজপাট গ্রামের তৈয়ব খাঁ পুত্র মোনায়েম খাঁ (৫০) মোটরসাইকেলে আমার শশুরকে জোর করে, ডাক্তার এর কাছে নেবার কথা বলে তাকে মহম্মদপুর রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে ২২ শতাংশ জমি লিখে নেয়।
নিত্যান্দপুর গ্রামের মাতব্বর আবু সাঈদ শেখ জানান, আমি আফজাল শেখের কাছে শুনলাম ৬ শতাংশ জমি লিখে নিয়েছে শিল্পী। এ বিষয় নিয়ে ২৩ এপ্রিল প্রথম পক্ষ ফারজানা বাদী হয়ে রাজাপুর পুলিশ ক্যাম্পে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটা অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন শিল্পী বেগম ও নুর আলমের বিরুদ্ধে।
- আরও পড়ুনঃ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া আওয়ামী রাজনীতির কঠিন সময়ের পথ প্রর্দশক – চট্রগ্রামে আমিনুল ইসলাম আমিন
তবে এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ বোরহান উল ইসলাম বলেন, যেহেতু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না, তাই এটা একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে, মামলা নং-২০, তাং- ০৫/০৫/২০২৪। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে, এটি যদি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এর সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রিন্ট