ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আমাদের পশ্চাদগামিতা অনিবার্য হয় কেন ? Logo মাথিন ট্র‍্যাজেডি: ভালোবাসার এক করুণ পরিণতি Logo পরিবেশের জন্যে ঝুঁকি পাটকাঠি ছাই মিল বন্ধের দাবীতে মধুখালীতে মানববন্ধন Logo কুষ্টিয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের আয়োজনে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo ফরিদপুরে দুইদিন ব্যাপী রিপোর্ট রাইটিং প্রশিক্ষনের উদ্বোধন Logo পাংশা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo সালথায় সনদ জালিয়াতি ও ভুয়া নিয়োগে একই প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিক্ষকের চাকরি Logo লালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ Logo রাজাপুরে ৫৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা, অজ্ঞাত ১৫০
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছে সদরপুরের কৃষকরা

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ। বিস্তীর্ণ পদ্মার চরজুড়ে সবুজ পাতায় দোল খাচ্ছে বাদামের গাছ। অল্প বিনিয়োগে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তবে সারাদেশে চলমান প্রচণ্ড তাপদাহ ও খরায় ফলন কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের। চরাঞ্চলে চাষ হওয়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে লাভ বেশি ও বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে বাদাম চাষে। উপজেলার দিয়ারা নারকেলবাড়িযা, চর নাসিরপুর, চর মানাইর, আকোটের চর ও ঢেউখালী এলাকায় বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

 

এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন হয়। প্রতি মণ বাদাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজারদরে বিক্রি হয়।

 

চর নাসিরপুর ইউনিয়নের চেরাক আলী হাজীর কান্দী গ্রামের কৃষক হাসান বেপারী জানান, আগে আমি সরিষা, তিলের চাষ করতাম, বাদাম চাষ লাভ জনক হওয়ায় এবছর আমি ৭ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে তবে খরার কারণে কিছুটা অসুবিধা হলেও লাভবান হবো।

 

অপর কৃষক একই ইউনিয়নের কাঁড়াল কান্দী গ্রামের আ: ছামাদ হাওলাদার বলেন, বাদাম চাষ করতে খরচ কম লাভ বেশি। তাই চর অঞ্চলের কৃষকেরা বাদামের চাষ বেশি করছে। এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে সামনে আরও বেশি করে আবাদ করব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষের উদ্বুদ্ধ করা সহ সার্বিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়বে সবার। এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ৩ হাজার ২৮২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় ১৩০ হেক্টর বেশি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমাদের পশ্চাদগামিতা অনিবার্য হয় কেন ?

error: Content is protected !!

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছে সদরপুরের কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
মোঃ নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরাঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাদাম চাষ। বিস্তীর্ণ পদ্মার চরজুড়ে সবুজ পাতায় দোল খাচ্ছে বাদামের গাছ। অল্প বিনিয়োগে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। তবে সারাদেশে চলমান প্রচণ্ড তাপদাহ ও খরায় ফলন কিছুটা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা চাষিদের। চরাঞ্চলে চাষ হওয়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে লাভ বেশি ও বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে বাদাম চাষে। উপজেলার দিয়ারা নারকেলবাড়িযা, চর নাসিরপুর, চর মানাইর, আকোটের চর ও ঢেউখালী এলাকায় বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

 

এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করতে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন হয়। প্রতি মণ বাদাম সাড়ে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বাজারদরে বিক্রি হয়।

 

চর নাসিরপুর ইউনিয়নের চেরাক আলী হাজীর কান্দী গ্রামের কৃষক হাসান বেপারী জানান, আগে আমি সরিষা, তিলের চাষ করতাম, বাদাম চাষ লাভ জনক হওয়ায় এবছর আমি ৭ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে তবে খরার কারণে কিছুটা অসুবিধা হলেও লাভবান হবো।

 

অপর কৃষক একই ইউনিয়নের কাঁড়াল কান্দী গ্রামের আ: ছামাদ হাওলাদার বলেন, বাদাম চাষ করতে খরচ কম লাভ বেশি। তাই চর অঞ্চলের কৃষকেরা বাদামের চাষ বেশি করছে। এবার আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদামের আবাদ করেছি। সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে সামনে আরও বেশি করে আবাদ করব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জেলার চরাঞ্চলের কৃষকদের বাদাম চাষের উদ্বুদ্ধ করা সহ সার্বিক সহায়তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়বে সবার। এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, এ বছর উপজেলায় ৩ হাজার ২৮২ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হয়েছে। যা গেল বছরের তুলনায় ১৩০ হেক্টর বেশি।


প্রিন্ট