ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃহস্পতিবার বিকেলে (৯ মে) হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা, ভুলবাড়িয়া, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমড়া, বড়গা পুরাতন ও নতুন বাজার, সহস্রাইল বাজারে পিঁয়াজের আড়ৎতে বেশ কিছু ঘর ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরণের গাছের গোড়াসহ গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলেছে কালবৈশাখী ঝড় । অনেক গুলো বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার ক্ষতি সাধন হয়েছে এ ঝড়ে। কৃষকদের অধিকাংশ ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সহস্রাইল বাজারের পিঁয়াজ ব্যবসায়ী পান্নু খান বলেন, বিকেলে হঠাৎ ঝড়ের মত গোল পাক হয়ে বাতাস উঠে এসে আমার ৩শ মন পিয়াঁজ লোড দেয়া ঘরের চাল খুঁটিসহ উঠিয়ে আছড়ে ফেলে। তখনই ঘর তছনছ হয়ে যায়। এতে আমার প্রায় ৮- ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অপর দিকে দরিসহস্রাইলের বাসিন্দা শেখ সোহরাপ হোসেনের ১২টি ঘরের মধ্যে ৯টি ঘরের টিন উড়িয়ে গাছে উঠিয়ে দেয়।
ওই ঘরের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী শেখর ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর সৈয়দ ইয়ার আলী বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আমার ঘর সহ অন্যান্ন ভাড়াটিয়াদের ঘরের চাল তছনছ হয়ে যায়। এতে ঘরে রাখা পিঁয়াজ ও পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ঝড়ে বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়ি ঘর, বিদ্যুতের মিটার, কাঠ ও ফলের গাছ ভেঙ্গে গিয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ ব্যবসায়ীরা মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও বিত্তবানদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
সহস্রাইল বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমার ৩৮ বছর বয়সে এমন ঝড় এই প্রথম দেখলাম। আগে শুধু নিউজের মাধ্যমে শুনেছি কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবলীলার কথা।
শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ভেঙ্গে রাস্তা আটকে গিয়েছিল। রাস্তা পরিস্কার করে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এ ঝড়ে অনেক টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি এখনও নির্ধারণ করতে পারিনি।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান এর কাছে শুক্রবার বিকেলে (১০মে) সরকারি নাম্বারে কল করে বৃহস্পতিবার বিকেলে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে মত প্রকাশ করেন।
প্রিন্ট