ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন!

নানাবিধ প্রতিকুলতা পার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা। অতীতের চেয়ে এখানকার স্বাস্থ্য সেবার মান অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারী সেবাদানকারী এই প্রষ্ঠিানটির উপর রোগীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত কালুখালী উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা চালু হয় ২০১২ সালে। স্বাস্থ্য সেবাকে আরো আধুনিক করার জন্য এর এক বছর পর ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালীতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।

এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি আধুনিক সাজে সজ্জিত করার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, রক্তের সিবিসি পরীক্ষা মেশিন, প্যাথলজি বিভাগের মেশিন, এক্স রে মেশিন,অপারেশন এর যন্ত্রপাতিসহ নানাবিধ চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়। কিন্তু দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন এসব সরঞ্জাম এর প্যাকেট না খুলে ষ্টোরে রেখে দেয়। ফলে স্থবির হয়ে পরে কালুখালী উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।ওই সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিরবতায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে অবৈধ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার।

এরই মাঝে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. ইসরাত জাহান উম্মন । যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে কালুখালীবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান। তিনি হাসপাতালের বন্ধ রাখা আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, রক্তের সিবিসি পরীক্ষা মেশিন, প্যাথলজি বিভাগের মেশিন, এক্স রে মেশিন,অপারেশন এর যন্ত্রপাতি চালুর উদ্যোগ । পাশাপাশি বন্ধ করনের নোটিশ দেন অবৈধভাবে গড়ে উঠা ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার মালিকদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান উম্মনের চেষ্টায় এবছর কালুখালীতে জরায়ুর মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচী” সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে কালুখালীর মানুষ এ ধরনের সেবার সুযোাগ পায়নি। তৃনমুল পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তার তদারকির কারনে সেবার মান বেড়েছে। সবশেষ ২৪ এপ্রিল কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয় সিজার অপারেশন। আর এর পর থেকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান উম্মনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত একটি মহল। তার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে হাসপাতালের রড বিক্রির অভিযোগ।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরেজমিন গেলে হাসপাতালের সামনের দোকানদার হজরত আলী জানায়, হাসপাতালের কোন রড বিক্রির বিষয়টি আমি জানি না। নির্মানকালীন কোন রড বেঁচে থাকলে তা ঠিকাদারের সম্পত্তি। তবে ঠিকাদাও এধরনের কোন রড রেখে যায়নি।

 

 

হজরত আলী সহযোগীতায় নির্মানকালীন সময়ের শ্রমিক রহমানের সাথে দেখা হয়। তিনি জানান,২০১৬ সালে ঢাকা মার্কেটাইলস কোং লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালটির নির্মানকাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ সালাহ উদ্দিন। শ্রমিক রহমানের মুঠো ফোনে কথা হয় ঢাকা মার্কেটাইলস কোং লিঃ এর পরিচালক শেখ সালাহ উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান,কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মানকালীন সময়ের কোন মালামাল আমি রেখে আসিনি।
স্থানীয়রা জানায়,সম্প্রতী হাসপাতালটির সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুশি। কারো অপপ্রচারের কারনে এ সেবার মান যেন পুনরায় স্থবির হয়ে না পরে । স্থানীয়রা এব্যাপারে সুদৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

কালুখালীতে স্বাস্থ্য সেবার মান পরিবর্তন!

আপডেট টাইম : ১০:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
সাহিদা পারভীন, কালুখালী (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি :

নানাবিধ প্রতিকুলতা পার করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার স্বাস্থ্য সেবা। অতীতের চেয়ে এখানকার স্বাস্থ্য সেবার মান অনেকাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সরকারী সেবাদানকারী এই প্রষ্ঠিানটির উপর রোগীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত কালুখালী উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা চালু হয় ২০১২ সালে। স্বাস্থ্য সেবাকে আরো আধুনিক করার জন্য এর এক বছর পর ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালীতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।

এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি আধুনিক সাজে সজ্জিত করার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, রক্তের সিবিসি পরীক্ষা মেশিন, প্যাথলজি বিভাগের মেশিন, এক্স রে মেশিন,অপারেশন এর যন্ত্রপাতিসহ নানাবিধ চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করা হয়। কিন্তু দায়িত্বশীল কর্মকর্তাগন এসব সরঞ্জাম এর প্যাকেট না খুলে ষ্টোরে রেখে দেয়। ফলে স্থবির হয়ে পরে কালুখালী উপজেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।ওই সময় স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নিরবতায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে অবৈধ ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার।

এরই মাঝে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ডা. ইসরাত জাহান উম্মন । যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে কালুখালীবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান। তিনি হাসপাতালের বন্ধ রাখা আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, রক্তের সিবিসি পরীক্ষা মেশিন, প্যাথলজি বিভাগের মেশিন, এক্স রে মেশিন,অপারেশন এর যন্ত্রপাতি চালুর উদ্যোগ । পাশাপাশি বন্ধ করনের নোটিশ দেন অবৈধভাবে গড়ে উঠা ক্লিনিক ও প্যাথলজি সেন্টার মালিকদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান উম্মনের চেষ্টায় এবছর কালুখালীতে জরায়ুর মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচী” সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে কালুখালীর মানুষ এ ধরনের সেবার সুযোাগ পায়নি। তৃনমুল পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তার তদারকির কারনে সেবার মান বেড়েছে। সবশেষ ২৪ এপ্রিল কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয় সিজার অপারেশন। আর এর পর থেকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান উম্মনের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত একটি মহল। তার বিরুদ্ধে তোলা হচ্ছে হাসপাতালের রড বিক্রির অভিযোগ।

বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সরেজমিন গেলে হাসপাতালের সামনের দোকানদার হজরত আলী জানায়, হাসপাতালের কোন রড বিক্রির বিষয়টি আমি জানি না। নির্মানকালীন কোন রড বেঁচে থাকলে তা ঠিকাদারের সম্পত্তি। তবে ঠিকাদাও এধরনের কোন রড রেখে যায়নি।

 

 

হজরত আলী সহযোগীতায় নির্মানকালীন সময়ের শ্রমিক রহমানের সাথে দেখা হয়। তিনি জানান,২০১৬ সালে ঢাকা মার্কেটাইলস কোং লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালটির নির্মানকাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শেখ সালাহ উদ্দিন। শ্রমিক রহমানের মুঠো ফোনে কথা হয় ঢাকা মার্কেটাইলস কোং লিঃ এর পরিচালক শেখ সালাহ উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান,কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নির্মানকালীন সময়ের কোন মালামাল আমি রেখে আসিনি।
স্থানীয়রা জানায়,সম্প্রতী হাসপাতালটির সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা খুশি। কারো অপপ্রচারের কারনে এ সেবার মান যেন পুনরায় স্থবির হয়ে না পরে । স্থানীয়রা এব্যাপারে সুদৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।


প্রিন্ট