ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ‘আল আলী অটো ইটভাটা’ নামক একটি ইটভাটায়। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য দিনের পরিবর্তে রাত নয়টার পর থেকে সারা রাত মাটি কাটা ও পরিবহনের কাজ করা হচ্ছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থল ময়না ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের দ্বিতীয় ব্রিজ থেকে ২০০ গজ দূরে হঠাৎপাড়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান সড়ক থেকে কমপক্ষে ২০০ গজ দূরে ফসলি জমি থেকে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। চারদিকে ফসলের ক্ষেত। ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ফসল নষ্ট করেই ট্রাকগুলো অবাধে মাটি টেনে নিচ্ছে। দিনে সেখানে সুনসান নীরবতা থাকলেও রাতের আধারে চলে মাটি কাটার বিশাল কর্মযজ্ঞ।
মাস খানেক আগে থেকে কাটা শুরু করলেও কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে গত তিন চারদিন ধরে আবার মাটি কাটা শুরু হয়েছে। সারারাত ট্রাক প্রতি সাড়ে সাত হাজার টাকায় ট্রাক সরবরাহ করেছেন মাটি টানার ড্রাম ট্রাক ব্যবসায়ী বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মনিরুল। আর মনিরুলের সাথে চুক্তি করেছে একই গ্রামের জামাল মেম্বার। ফসলী জমির মাটি বিক্রি করছেন ময়না গ্রামের জাকির হোসেন মোল্যা। পুকুর খননের কাজ দেখাশোনা করছেন ময়না গ্রামের বাচ্চু মোল্যা। বাচ্চু মোল্যা জানান, দুই পাখি জায়গায় পুকুর খনন করে দেবে উপজেলার চতুল ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত আল-আলী অটো ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা। এ জন্য ভাটাটির মালিক জমির মাটি বাবদ ৭০ হাজার টাকা দেবে জমির মালিককে।
এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী জামাল মেম্বার বলেন, জাকির মোল্যার ৫৬ শতাংশ জমির মাটি এক লাখ সতেরো হাজার টাকায় কিনে আমি বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে জমির মালিক জাকির মোল্যার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল বলেন, রাতের আঁধারে ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তহশিলদারকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।
প্রিন্ট