রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) চৈতপুর মৌজায় প্রায় ৫ বিঘা ফসলি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, কোনো কাজপত্র ছাড়াই গ্রামের প্রভাবশালী মতিউর রহমান জোরপুর্বক এসব জমি জবরদখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ
করছে।
এ ঘটনায় ২৪ এপ্রিল বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পাররামকৃষ্ণপুর গ্রামের দুরুল হোদার পুত্র পলাশ উদ্দীন দিগর বাদি হয়ে তানোর উপজেলার চৈতপুর গ্রামের মৃত মমতাজ সোনারের পুত্র মতিউর রহমান মতিসহ ৪ জনকে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) জেল নম্বর ২৯ মৌজা চৈতপুর দাগ নম্বর ১২২ জমির পরিমান ৫০ শতক শ্রেণী পুকুর-কৃষি। উক্ত সম্পত্তির মালিক চৈতপুর গ্রামের আমেনা বেগম। তার নামে খাজনা-খারিজ করা আছে।
একই মৌজায় ১২১ নম্বর দাগে ৩৫ শতক সম্পত্তি একই গ্রামের সাগরী বেগমের নামে খাজনা-খারিজ করা আছে। একই মৌজায় ১২২ নম্বর দাগে ৩৩ শতক সম্পত্তি একই গ্রামের শিরিনা বেগমের নামে খাজনা-খারিজ করা আছে।একই মৌজায় ৭২ নম্বর দাগে ৩১ শতক ও ৭৩ নম্বর দাগে ২১ শতক সম্পত্তি একই গ্রামের পলাশের নামে খাজনা-খারিজ করা আছে। তাদের ৪ জনের নামে মোট ১৭০ শতক সম্পত্তি খাজনা-খারিজ করা আছে।
কিন্ত্ত চৈতপুর গ্রামের মমতাজ আলী সোনারের পুত্র মতিউর রহমান, মৃত রবু মন্ডলের পুত্র মফিজুল ইসলাম, মৃত খোকা মন্ডলের পুত্র মফিজ মন্ডল ও একই গ্রামের জমির মন্ডল। তারা সিন্ডিকেট সৃষ্টি করে মসজিদের নাম ভাঙিয়ে এসব জমি জবরদখল করেছে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মতিউর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জমি তাদের দখলে আছে যা হবার তা কোর্টে হবে।
প্রিন্ট