ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলতাব আলী ফাউন্ডেশন প্রবাসী বাঙালিদের অবদানের স্বীকৃতি দাবি করেছে Logo বাসায় ফেরার পথে অরক্ষিত রেল ক্রচিং ট্রেনে কাটা পড়ে এসআই নিহত Logo চাটমোহরে বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালি কাটার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন Logo ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে কবি মিনতি দত্ত মিশ্রর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত ৪০% Logo কুষ্টিয়ায় কাভার্ড ভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ Logo মাগুরায় চুরি যাওয়া ১০২টি স্মার্ট ফোন ও বিকাশ প্রতারণার টাকা উদ্ধার করে হস্তান্তর Logo ২য় ধাপে মাগুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে Logo ইতালিতে বাংলাদেশ ‘ইমিগ্র্যান্টস’ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo গোয়ালন্দে প্রতীক পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা মুন্সির বিশাল শোডাউন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাগাতিপাড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো পালিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মলম্বীদের বাসন্তী পূজা

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে উপজেলার ইউ এন ও পার্ক সংলগ্ন বড়াল নদীর ঘাটে বাসন্তী দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা উৎসবের অনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বাগাতিপাড়ার শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ যুব সংঘের সভাপতি- অনন্ত মহন্ত ও সাধারণ সম্পাদক- সঞ্জয় আগরওয়ালার সার্বিক সহযোগিতা ও আয়োজনে গত ১৪ই এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ)এ শ্রী শ্রী শ্যামা কালীমাতা কেন্দ্রীয় মন্দিরে যথাযত ভাবগাম্ভীর্জের মধ্য দিয়ে এই পূজার অনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়েছিলো। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫ দিন ব্যাপি চলে এই বাসন্তী দুর্গাপূজা।

 

কুষ্টিয়া থেকে আগত মিন্টু কুমার বোস্বামী পুরোহিত জানান, হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী হারানো রাজ্য ফিরে পেতে সুরথ রাজা দুর্গা দেবীর আরাধনা করেছিলেন বসন্তকালে। সেই বিশ্বাস থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে বসন্তকালে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেন। দেবী দুর্গাকে হেমন্ত ঋতুতে পূজা করার রীতি রয়েছে। দেবীকে তখন কাত্যায়নী নামে পূজা করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার মতো এসব পূজাতেও ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। রোগশোক থেকে মুক্তি ও কল্যাণের জন্য তারা বাসন্তী দেবীর পূজা করে থাকেন। এই বাগাতিপাড়ায় তিনি ভক্তদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান।

 

বাগাতিপাড়ার শ্রী শ্রী শ্যামা কালীমাতা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি শুভাশীষ গারোদিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ মহন্ত জানান, সর্ব মঙ্গলময়ী, শক্তিরূপিনী, কল্যাণময়ী, শ্রী শ্রী বাসন্তী দুর্গামাতার রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার মনস্থির করে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ যুব সংঘের সভাপতি- অনন্ত মহন্ত ও সাধারণ সম্পাদক- সঞ্জয় আগরওয়ালা। প্রথমবারের মতো বাসন্তী দুর্গাপূজার আয়োজন করায় তাদেরকে অন্তরিক ধন্যবাদ জানান তারা।

 

আয়োজক সঞ্জয় আগরওয়ালা জানান, বাগাতিপাড়ায় এই প্রথম বাসন্তী দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। যার ফলে আমরা শুধু বাগাতিপাড়ার না পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলারও হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেক ভক্তরা এসেছিলেন মায়ের আরাধনা করতে।

 

 

বিসর্জনের সময় সরেজমিনে দেখা যায়, দেবীকে বিদায় জানানোর আগে শেষবারের মতো উৎসবে মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। শেষ মুহূর্তে দেবীর আরাধনায় ব্যস্ত ছিলেন অসংখ্য ভক্ত। আর তারই ফাঁকে ফাঁকে চলছিল রঙ খেলা। পূজা শেষে নারী ভক্তরা একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং গালে কেটে দেন রঙের আচড়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় যথাযত সম্মান দেখিয়ে বাগাতিপাড়া ইউ এন ও পার্ক সংলগ্ন বড়াল নদীর ঘাটে বাসন্তী দেবী মাতার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সকল আনুষ্ঠানিকতা।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলতাব আলী ফাউন্ডেশন প্রবাসী বাঙালিদের অবদানের স্বীকৃতি দাবি করেছে

error: Content is protected !!

বাগাতিপাড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো পালিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মলম্বীদের বাসন্তী পূজা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে উপজেলার ইউ এন ও পার্ক সংলগ্ন বড়াল নদীর ঘাটে বাসন্তী দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজা উৎসবের অনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বাগাতিপাড়ার শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ যুব সংঘের সভাপতি- অনন্ত মহন্ত ও সাধারণ সম্পাদক- সঞ্জয় আগরওয়ালার সার্বিক সহযোগিতা ও আয়োজনে গত ১৪ই এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ)এ শ্রী শ্রী শ্যামা কালীমাতা কেন্দ্রীয় মন্দিরে যথাযত ভাবগাম্ভীর্জের মধ্য দিয়ে এই পূজার অনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়েছিলো। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ৫ দিন ব্যাপি চলে এই বাসন্তী দুর্গাপূজা।

 

কুষ্টিয়া থেকে আগত মিন্টু কুমার বোস্বামী পুরোহিত জানান, হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী হারানো রাজ্য ফিরে পেতে সুরথ রাজা দুর্গা দেবীর আরাধনা করেছিলেন বসন্তকালে। সেই বিশ্বাস থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে বসন্তকালে বাসন্তী পূজার আয়োজন করেন। দেবী দুর্গাকে হেমন্ত ঋতুতে পূজা করার রীতি রয়েছে। দেবীকে তখন কাত্যায়নী নামে পূজা করা হয়। শারদীয় দুর্গাপূজার মতো এসব পূজাতেও ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী শেষে দশমীতে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয়। রোগশোক থেকে মুক্তি ও কল্যাণের জন্য তারা বাসন্তী দেবীর পূজা করে থাকেন। এই বাগাতিপাড়ায় তিনি ভক্তদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান।

 

বাগাতিপাড়ার শ্রী শ্রী শ্যামা কালীমাতা কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি শুভাশীষ গারোদিয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ মহন্ত জানান, সর্ব মঙ্গলময়ী, শক্তিরূপিনী, কল্যাণময়ী, শ্রী শ্রী বাসন্তী দুর্গামাতার রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার মনস্থির করে শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ যুব সংঘের সভাপতি- অনন্ত মহন্ত ও সাধারণ সম্পাদক- সঞ্জয় আগরওয়ালা। প্রথমবারের মতো বাসন্তী দুর্গাপূজার আয়োজন করায় তাদেরকে অন্তরিক ধন্যবাদ জানান তারা।

 

আয়োজক সঞ্জয় আগরওয়ালা জানান, বাগাতিপাড়ায় এই প্রথম বাসন্তী দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। যার ফলে আমরা শুধু বাগাতিপাড়ার না পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলারও হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেক ভক্তরা এসেছিলেন মায়ের আরাধনা করতে।

 

 

বিসর্জনের সময় সরেজমিনে দেখা যায়, দেবীকে বিদায় জানানোর আগে শেষবারের মতো উৎসবে মেতে উঠেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। শেষ মুহূর্তে দেবীর আরাধনায় ব্যস্ত ছিলেন অসংখ্য ভক্ত। আর তারই ফাঁকে ফাঁকে চলছিল রঙ খেলা। পূজা শেষে নারী ভক্তরা একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং গালে কেটে দেন রঙের আচড়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় যথাযত সম্মান দেখিয়ে বাগাতিপাড়া ইউ এন ও পার্ক সংলগ্ন বড়াল নদীর ঘাটে বাসন্তী দেবী মাতার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সকল আনুষ্ঠানিকতা।