ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীতে মৎস শিকারে, শিকারীদের মহা উৎসব

নাটোরের বাগাতিপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা এক সময়ের খরস্রোতা বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে তলদেশ খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু পানির দেখা মেলে, কোথাও আবার পানি শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হতে দেখা যাচ্ছে  । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।’ সেই সামান্য পানিতে মাছের আনাগোনা দেখে স্থানীয় শৌখিন মাছ শিকারীরা নেমে পড়েন নদীর পানিতে।

এমন চিত্র দেখা গেল উপজেলার সালাইনগর ব্রীজের নীচে বড়াল নদীতে। যেন তারা মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জাল টেনে মাছ শিকার করছেন। দুয়েকটি ছোট-বড় মাছ ধরে যেন আনন্দে মেতে উঠছেন তারা। ঘন শেওলার মাঝে লুকিয়ে থাকা মাছগুলোকেও তাড়া দিয়ে বের করে জালে আটকানোর চেষ্টা করছেন এসব শৌখিন মাছ শিকারীরা। তপ্ত দুপুরের কাঠফাটা রোদও যেন তাদের মাথায় নেই। অবশেষে প্রায় দেড়-দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে মাছ শিকার।

কিন্তু কাঙ্খিত মাছ না পেলেও দল বেঁধে শিকারের উৎসবেই যেন তারা বেজায় খুশি। মাছ শিকারীদের মধ্যে কয়েকজন গৃহবধুরা জানায়, ছোট বেলায় বাড়ির পুকুরে শুকনো মৌসুমে মাছ ধরতাম। নদীতে অল্প পানি হওয়ায় সবার সাথে মাছ ধরতে নেমে বেশ ভালো লেগেছে। মাছ শিকারী বাজিতপুর গ্রামের আবিদ হাসান বলেন, নদীতে পানি নেই। কিছুটা গভীর এলাকায় হাঁটু পানি জমে আছে।

 

 

ওই পানিতে কিছু ছোট মাছ ভাসতে দেখে মাছ ধরতে নেমেছিলাম। মাছ তেমন একটা পাওয়া না গেলেও আনন্দটায় বেশি হয়েছে। একই গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তরিকুল  জানায়, মা-বাবা, চাচা-চাচীদের সাথে মাছ ধরতে নেমেছিলাম বেশ আনন্দ হয়েছে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীতে মৎস শিকারে, শিকারীদের মহা উৎসব

আপডেট টাইম : ১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নাটোরের বাগাতিপাড়ার বুক চিরে বয়ে চলা এক সময়ের খরস্রোতা বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে তলদেশ খাঁ খাঁ করছে। কোথাও কোথাও হাঁটু পানির দেখা মেলে, কোথাও আবার পানি শুকিয়ে মাটি ফেটে চৌচির হতে দেখা যাচ্ছে  । কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়, ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে, বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।’ সেই সামান্য পানিতে মাছের আনাগোনা দেখে স্থানীয় শৌখিন মাছ শিকারীরা নেমে পড়েন নদীর পানিতে।

এমন চিত্র দেখা গেল উপজেলার সালাইনগর ব্রীজের নীচে বড়াল নদীতে। যেন তারা মাছ শিকারের উৎসবে মেতেছেন। বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জাল টেনে মাছ শিকার করছেন। দুয়েকটি ছোট-বড় মাছ ধরে যেন আনন্দে মেতে উঠছেন তারা। ঘন শেওলার মাঝে লুকিয়ে থাকা মাছগুলোকেও তাড়া দিয়ে বের করে জালে আটকানোর চেষ্টা করছেন এসব শৌখিন মাছ শিকারীরা। তপ্ত দুপুরের কাঠফাটা রোদও যেন তাদের মাথায় নেই। অবশেষে প্রায় দেড়-দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে মাছ শিকার।

কিন্তু কাঙ্খিত মাছ না পেলেও দল বেঁধে শিকারের উৎসবেই যেন তারা বেজায় খুশি। মাছ শিকারীদের মধ্যে কয়েকজন গৃহবধুরা জানায়, ছোট বেলায় বাড়ির পুকুরে শুকনো মৌসুমে মাছ ধরতাম। নদীতে অল্প পানি হওয়ায় সবার সাথে মাছ ধরতে নেমে বেশ ভালো লেগেছে। মাছ শিকারী বাজিতপুর গ্রামের আবিদ হাসান বলেন, নদীতে পানি নেই। কিছুটা গভীর এলাকায় হাঁটু পানি জমে আছে।

 

 

ওই পানিতে কিছু ছোট মাছ ভাসতে দেখে মাছ ধরতে নেমেছিলাম। মাছ তেমন একটা পাওয়া না গেলেও আনন্দটায় বেশি হয়েছে। একই গ্রামের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী তরিকুল  জানায়, মা-বাবা, চাচা-চাচীদের সাথে মাছ ধরতে নেমেছিলাম বেশ আনন্দ হয়েছে।