‘প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল প্রঙ্গনে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি
হাসপাতালের আয়োজনে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগীতায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও সেবা সপ্তাহ-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রদর্শনী মেলায় প্রায় ৪১টি স্টলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা তাদের পালনকৃত উন্নত প্রজাতির গরু, ছাগল,
ঘোড়া, হাঁস-মুরগী ও কবুতরসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রদর্শনী দেখতে সকাল থেকে সাধারণ মানুষের ভিড় করতে শুরু করে।
অংশগ্রহণকারী খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২২টি পুরস্কার বিতরণের মধ্যে দিয়ে এ প্রদর্শনী সমাপ্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াসমীনের সভাপতিত্বে ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো: শওকত আলীর পরিচালনায় সাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ভবেন বাইন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু, ভাইচ চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন, সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সেলিম রেজা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলীম সুজা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলম, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর ও উপজেলা ডেইরি এসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.ভবেন বাইন বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দেশে বিভিন্ন জাতের পশু পালন বিষয়ে আমরা ব্যাপক সাফল্য লাভ করছি। হাঁস-মুরগির ডিম উৎপাদনে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হয়েছি। দুধ উৎপাদনেও প্রায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। প্রাণিসম্পদের এই প্রদর্শনী পশুপালনে জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছি।’
- আরও পড়ুনঃ দৌলতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
তিনি আরও বলেন, খামারীরা যদি অধুনিক প্রযুক্তি সঠিক ব্যবহার করলে লক্ষ মাত্রা থেকেই উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করছি।
প্রিন্ট